শিরোনাম :
সুযোগ পেলে জীবনের শেষ সময়গুলো জনগণের খেদমতে উৎসর্গ করতে চাই-মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিলেট মহানগর ১নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী-সুধী সমাবেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছায়াতলে মানবিক সংকট বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি শ্রমিকদের দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের মানববন্ধন নির্বাচন হবে স্বাধীন ও উৎসবমুখর : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৫ সিলেট-তামাবিল সড়কের সিএনজিকে ট্রাকের ধাক্কা, যুবক নিহত আমরা সবাইকে নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে নেব-সিলেটে-জামায়াতে আমীর ডা. শফিকুর রহমান ধানের শীষকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: এমরান চৌধুরী

সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ২১ মে, ২০২২
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরে তোলা ভেজা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার কৃষকরা। বোরো ধান মাড়াইয়ের এ ভরা মৌসুমে একদিকে হাওরের পানি, অন্যদিকে বাড়িতে ওঠানো ভেজা ধান নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন তারা। এর ফলে ধান ধান শুকাতে না পেরে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করছেন চাষিরা।

বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ‘কয়েকদিন আগে হাওরের বাঁধ ভেঙে পানির নিচে তলিয়ে গেছে আমার ৩ কেয়ার জমির বোরো ফসল।তরিঘরি করে যে ধানগুলো কেটেছিলাম টানা বৃষ্টি পাতের কারণে সেগুলো মাড়াই দিয়ে শুকাতে পারছি না। এই অবস্থার কারণে ধানের আঁড়েই অঙ্কুর গজিয়েছে। এ কারণে আমরা চিন্তায় আছি।

 

মির্জাপুর গ্রামের কৃষক মো. কিবরিয়া বলেন, হাওরে পানি ঢোকার সাথে সাথে ৮ কেয়ার জমির মধ্যে ৫ কেয়ার জমির ধান কেটেছিলাম। মাড়াই করে রোদ না থাকায় ধানগুলো শুকাতে পারছি না। যার ফলে আমাদের গ্রামের সকল কৃষক আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি।

হামিদপুর গ্রামের কৃষক টিটন মিয়া বলেন, আমরা ধান নিয়ে এমন বিপাকে পড়েছি। কোথাও শুকানোর মতো জায়গা পাচ্ছি না। রাস্তা যার যার মতো দখল নিয়ে সবাই ধান শুকানোও চেষ্টা করছে। এই বছর আমরা ধান চাষ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ বলেন, যেহেতু আমাদের অঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের কৃষকের ধান শুকানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সামনে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

 

ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়তই আমরা কৃষকদের অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। যেসব ধানের জমিগুলো ডোবে যাচ্ছে সেগুলো যাতে তাড়াতাড়ি কর্তন করা হয় সে ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain