নিউজ ডেস্ক :: সাভারের আড়াপাড়া জমিদারবাড়ির পুকুরপাড়ে মাদক সেবন ও আড্ডাবাজির প্রতিবাদ করায় ফটোগ্রাফার কৃষ্ণ সরকারকে খুন করে বখাটেরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নয়ন মনি বাউল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতার নয়ন মনি বাউলের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। সাভারের আড়াপাড়ায় তার শ^শুরবাড়ি। বেশিরভাগ সময়ই তিনি সাভারে শ^শুরবাড়িতে অবস্থান করতেন। এখানে এসে বখাটেদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে বেড়াতেন।
বুধবার সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গত ৩০ মে জমিদারবাড়ির পুকুরপাড়ে বসে মাদক সেবন ও আড্ডাবাজির প্রতিবাদ করায় ফটোগ্রাফার কৃষ্ণ সরকারকে খুন করা হয়। ওই হত্যার ঘটনার বিষয়ে কৃষ্ণ সরকারের ভাই গোবিন্দ সরকার নয়নকে প্রধান আসামি করে এজাহারনামীয় ৪ জন ও অজ্ঞাতপরিচয় ২-৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। পরে এ ঘটনাটি সিআইডি ছায়াতদন্ত শুরু করে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে নয়ন মনি বাউলসহ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পায় সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানার সাতাইশ এলাকা থেকে নয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুক্তা ধর বলেন, গত ৩০ মে নয়ন তার স্ত্রীকে নিয়ে সাভারে শ^শুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। সাভারে আসার পর তিনি সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বখাটেদের সঙ্গে জমিদারবাড়ির পুকুরপাড়ে আড্ডা দিতেন। উচ্চস্বরে গান-বাজনা এবং মাদকের আসর বসাতেন তারা। বখাটেদের উৎপাত অসহনীয় হয়ে ওঠায় প্রতিবাদ জানান ফটোগ্রাফার কৃষ্ণ সরকার। তিনি রাজধানীর মগবাজারের ওয়েডিং প্যারাডাইস নামে একটি স্টুডিওতে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গত ৩০ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে কৃষ্ণ সরকার কর্মস্থল থেকে ফেরার সময় তার বাড়ির সামনে বখাটেদের গান-বাজনা করতে দেখেন। আড্ডা বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন কৃষ্ণ। তবে বখাটেরা তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে নয়ন মনি বাউলের নেতৃত্বে অন্যরা কৃষ্ণ সরকারকে মারধর করতে শুরু করেন। এ সময় নয়ন মনি তার কাছে থাকা ধারালো সুইচ গিয়ার বা ছুরি দিয়ে কৃষ্ণ সরকারের বুকে ও পেটে আঘাত করেন। পরে তাকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যান।