নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো সাড়ে ১২ হাজার বানভাসিএখনো বন্যার পানি রয়েছে গেছে দক্ষিণ সুরমা কলেজ এলাকায়। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কারণে সিলেট জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ হাজার ৬৭১ জন লোক এখনো রয়ে গেছেন। বেশিরভাগ জায়গায় পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। আর নিম্নাঞ্চলের পানি এখনো না নামায় আশ্রয়কেন্দ্রে দীর্ঘবাস করছেন এসব লোকজন।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও সিসিকের তথ্যানুসারে- সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৮৩ টি পরিবারের ২৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন মানুষ। এরমধ্যে ৪০ হাজার ৪১ টি বাড়ি বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ১০ হাজার করে ৫ হাজার পরিবারকে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে মহানগরের কোথাও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল অথবা সিসিক থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
সিলেট জেলার ১৩ উপজেলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ২ হাজার ১১২ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা, ১০ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লক্ষ টাকার গো-খাদ্য, ২ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহমঞ্জুরি ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা, বরাদ্দকৃত শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য, ২০ হাজার ২১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া বানভাসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
সিলেট মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ১৪০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজ।
তিনি জানান, জেলার সবকয়টি উপজেলায় বন্যাদুর্গতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঘর মেরামতের জন্য টাকা প্রদান করা হলেও মহানগরীতে এখনো এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়নি। নির্দেশনা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।