শিরোনাম :
সিলেটে সাধারণ মানুষের মাঝে ৭ টাকায় ইফতার বিতরণ রোজাদারদের মধ্যে মৌলা বক্স করিম বক্স লিমিটেডের ইফতার বিতরণ বিশ্বনাথের লামাকাজি ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল পবিত্র রমজান মাসে আমাদেরকে আত্মশুদ্ধিকরে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্ঠা করতে হবে–রেজাউল করিম দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে: কয়েস লোদী বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সিলেটের ইফতার মাহফিলে-এডভোকেট জুবায়ের গোয়াইনঘাট সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১২ কোটি টাকার চোরাচালান জব্দ সিলেট রক্তের অনুসন্ধানে আমরা সংগঠনের উদ্যোগ প্রজেক্ট “পান্থশালা”র আয়োজনে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন সম্প্রীতির বাংলাদেশে ব্যক্তি পর্যায়ে রোজাদারদের নিয়ে ইফতার পার্টিতে ডা. অভি রঞ্জন বড়ুয়া

এক ঘণ্টা কারেন্ট থাকলে তিন ঘণ্টা থাকে না’

রিপোর্টার নামঃ
  • বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২
  • ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: ইমরান হোসাইন মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌর শহরে টেইলার্সের ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার দিন-রাত মিলিয়ে লোডশেডিং এর কারণে যথাসময়ে কাস্টমারের পোষাক তৈরির কাজ শেষ করতে পারেননি। কাস্টমারের পোষাকের কাজ শেষ করতে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় দোকান খুলেন। ঘন্টা দেড়েক কাজ করার পর সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। আসে ঘন্টা দেড়েক পর। এভাবেই দিনভর চলে বিদ্যুৎতের আসা-যাওয়ার খেলা।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তিনি বিদ্যুৎ পেয়েছেন ৪ ঘন্টারও কম। তার দোকানটি মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বড়লেখা কার্যালয়ের ২ নম্বর ফিডারের আওতায় পড়েছে।

ইমরান হোসাইনের মতো এরকম অভিযোগ করেছেন ওই ফিডারের আওতায় থাকা ব্যবসায়ী ও বাসা-বাড়ির বাসিন্দারা। শুধু ২ নম্বর ফিডার নয় অন্যান্যগুলোতেও একটি অবস্থা চলছে।

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে বড়লেখা পৌর শহর ও গ্রামাঞ্চলের অন্তত ১০ জন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলেছে সিলেটটুডে। তারা জানিয়েছেন, শহরে গড়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ও গ্রামে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।

তবে এই পরিস্থিতির জন্য মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বড়লেখা কার্যালয় থেকে বলা হচ্ছে, চাহিদার তুলনায় অর্ধেক সরবরাহও মিলছে না। এ জন্যই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

ব্যবসায়ী ইমরান হোসাইন বলেন, ‘দিনে এক ঘন্টা কারেন্ট দিলে তিন ঘন্টা মিলছে না। কাস্টমারের কাছ থেকে কাপড়ের অর্ডার নিয়ে সময়মতো কাজ করে দিতে পারছি না। এতে কাজও কমছে আমাদের। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রুবেল আহমদ বলেন, ‘বিদ্যুতের দুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁচেছে। দিনের বেকশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় পানি তোলার মটর নষ্ট হচ্ছে অনেকের।’

পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জুনেদ রায়হান রিপন বলেন, ‘মঙ্গলবার আমাদের এলাকায় প্রায় ৫-৬ ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছে। বুধবার অবশ্য সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ ঘন্টার মতো হয়েছে। দেখি গভীর রাতে কি হয়।’

পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শুনলাম এক ঘন্টা লোডশেডিং হবে। কিন্তু এখন দেখছি ৫-৬ ঘন্টা করে হচ্ছে। তীব্র গরমে দোকানে ঠিকে থাকা দায়।’

তালিমপুর ইউনিয়নের গগড়া গ্রামের বাসিন্দা রিপন দাস বলেন, ‘মঙ্গলবার প্রায় ৫ ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছে। একে তো বিদ্যুৎহীনতা তার উপর তীব্র গরমের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে।’

নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের গল্লাসাংগন গ্রামের বাসিন্দা সুলতান আহমদ বলেন, ‘মঙ্গলবার প্রায় ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বুধবার সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৪ ঘন্টাও আমরা বিদ্যুৎ পাইনি। তীব্র গরমের মাঝে কষ্ট হচ্ছে।’

একই ইউনিয়নের পূর্ব মাইজগ্রামের বাসিন্দা নীরব দাসও জানিয়েছেন, তারা গড়ে ১০-১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না।

বিদ্যুৎ নিয়ে এরকম দুর্ভোগের কথা জানিয়েছেন, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের জয়নাল আবেদীন, নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবুল আহমদ, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মাছুম আহমদ।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বড়লেখা কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সুহেল রানা চৌধুরী বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বলেন, ‘বুধবার আমাদের চাহিদা ছিলো ২০ মেঘাওয়াট। সরবরাহ পেয়েছি ৫ মেগাওয়াটের মতো। ফলে অর্ধেকেরও কম সরবরাহ পাচ্ছি। এমন হলে তো লোডশেডিং করতেই হবে।’

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain