অনুসন্ধান নিউজ :: ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা–শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ১৬তম দিন আজ। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের ৩৯টি চা–বাগানের মধ্যে মাত্র একটি বাগানের শ্রমিকেরা কাজে ফিরেছেন। বাকি চা–বাগানগুলোয় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শ্রমিকদের কাজে দেখা যায়নি, সভা–সমাবেশ করতেও দেখা যায়নি।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভুরভুরিয়া চা–বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কয়েকজন চা–শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েও আবার বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। কয়েকজন শ্রমিক বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করছেন কাজ করবেন কি না, সে বিষয়ে। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কাজে যোগ দেননি তাঁরা।
ভুরভুরিয়া চা–বাগানের শ্রমিক আকাশ দোষাদ বলেন, ‘দেশের সব চা–বাগানে যদি কাজ হয়, আমরাও করতে রাজি। তবে আমাদের দাবিটা অবশ্যই বাগানমালিকদের মেনে নিতে হবে। দীর্ঘ ১৬ দিন খেয়ে না খেয়ে আন্দোলন করছি আমাদের মজুরি বাড়ানোর জন্য। আমরা ১২০ টাকা মজুরিতে অনেক কষ্টে দিন কাটাই। আমাদের ১২০ টাকার বাইরে যে রেশন, চিকিৎসা, বাসস্থান বাগান কর্তৃপক্ষ দেয়; সেটা পর্যাপ্ত নয়। সেখানে অনেক ফাঁকি আছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর মুখের দিকে চেয়ে আছি। তিনি আমাদের মজুরি নিয়ে একটা ভালো সিদ্ধান্ত দেবেন আশা করি।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেরিন চা–বাগানের শ্রমিকেরা কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ধর্মঘটের ১১তম দিনে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বিভিন্ন চা–বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের কাজ করার অনুরোধ জানান। তাঁদের অনুরোধে গতকাল ভাড়াউড়া চা–বাগান, জেরিন চা–বাগানের শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন চা–শ্রমিকেরা। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছেন না সাধারণ শ্রমিকেরা। বাগানে বাগানে ঘুরে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।