শিরোনাম :
শাবিতে নতুন ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ‍্যক্ষ সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপ ও তামাবিল পাথর আমদানীকারক গ্রুপের মতবিনিময় সভা সুনামগঞ্জের শ্যামারচরে জামায়াতের সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল মধুপূর্ণিমা তিথিতে চারুআড্ডা’র আহ্বানে আলোকিত বিশ্ব গড়তে আলো হাতে দশ মিনিট সানাবিল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গোলাপগঞ্জে শহীদ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান সিলেটের গোলাপগঞ্জে অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকদলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা কিডনি বিশেষজ্ঞ দলের সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল পরিদর্শন সিলেটে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর মুখে ‘মুহাম্মদের গান’ জাফলংয়ে লুৎফুর উদ্দিন মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান

কাউকে ধরে বেঁধে নির্বাচনে আনবো না: সিইসি

রিপোর্টার নামঃ
  • সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলকে ধরে বেঁধে নির্বাচনে আনবেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে অন্যতম প্রধান দল বিএনপি। তাদের চাওয়ায় বাধা নেই নির্বাচন কমিশনের। দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তাই তাদের ধরে বেঁধে নির্বাচনে আনতে যাবো না।

নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে অনড় থাকা রাজনৈতিক দল বিএনপিকে ভোটে আনা প্রসঙ্গে আহ্বানের বাইরে বিশেষ কৌশল থাকবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সোমবার নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। পার্টিরাই সারাবিশ্বে এই ভারসাম্য সৃষ্টি করে। সকলের প্রতি আন্তরিকভাবে উদাত্ত আহ্বান থাকবে আপনারা আসেন, সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখেন ও সহায়তা করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিএনপি অন্যতম প্রধানতম দল। তারা যদি অংশগ্রহণ করে তাহলে নির্বাচনটা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে। এখন বিএনপির যে রাজনৈতিক কৌশল, আমরা কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের কৌশলের ওপর হস্তক্ষেপ করবো না, করতে পারি না। এখন বিএনপি যেটা চাচ্ছে, সে ব্যাপারের আমাদের কোনো রকম বাধা নেই। কিন্তু আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত রয়েছে, সে দায়িত্বের পথে আমরা এগিয়ে যাব।

তিনি আরও বলেন, আজকে দুটি দলের সঙ্গে সংলাপ হলো। এই অর্থে সংলাপ শেষ হলো। সিদ্ধান্ত গ্রহণে যাতে সহায়ক হয় সেজন্যই সংলাপ করেছি। সংলাপ করে আমরা লিখিত আকারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছি তাদের। ইভিএম নিয়েও বৈঠক করেছি। আমাদের নিজস্ব বিবেচনায় এবং দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে যৌক্তিকভাবে ব্যালট পেপারে ১৫০ আসন ও দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সিদ্ধান্ত আদৌ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কি না সেটা নির্ভর করবে ইভিএম পাওয়ার ওপর। কারণ, এটার বেশিরভাগ পার্টস আসবে বিদেশ থেকে। ইভিএম নিয়েও ইসি খুঁটিনাটি কাজ করছে। ইভিএমের মধ্যে ওই ধরণের কারচুপি, কার্ডের মাধ্যমে ভোট সম্ভব কিনা খতিয়ে দেখছে কমিশন। কারচুপির বিষয় কিন্তু পাওয়া যায়নি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা শুধু দলকে নয়, সরকারকেও সংলাপ থেকে আসা মতামত জানিয়েছি। ভোটার তালিকা আগামী বছর মার্চ মাসে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে। রোডম্যাপ দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্তভাবে অবহিত করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, ইভিএমে ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রে একটা অসুবিধা কেউ কেউ লক্ষ্য করেছেন, যে একজন লোক বুথে যদি দাঁড়িয়ে থাকে। সেই সঙ্কটের বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। এজন্য আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা দেব। আমরা কঠিন দায়িত্ব অর্পণ করবো প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ওপর। কেউ যদি বৈধ বা অবৈধভাবে ভোট বাধাগ্রস্ত করে তবে তাৎক্ষণিক ভোট বন্ধ করে ওই লোককে বের করে দেবেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা যদি মাস্তানকে অ্যালাউ করেন তবে শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নতুন প্রকল্পে ইভিএম সংরক্ষণের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। এটা আমাদের প্ল্যান। প্রকল্প যদি অনুমোদন হয়, বাস্তবায়ন যদি করতে না পারি তবে ব্যালটে নির্বাচন করবো।

ইসির অধীনে স্বরাষ্ট্রসহ চার মন্ত্রণালয় নেওয়ার বিষয়ে সিইসি বলেন, সংশ্লিষ্ট সংস্থার ওপর ইসির কর্তৃত্ব আছে। এতদিন হয়তো প্রয়োগ করা হয়নি। মন্ত্রণালয় ন্যস্ত করার বিষয়টি এটা ইসির অধীনে হতে পারে না। এটা সংবিধানে বলা আছে। যে ক্ষমতা আছে সেটাই প্রয়োগ করলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করা সম্ভব।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain