অনুসন্ধান নিউজ :: এক দুই বছর নয়, নয় পাঁচ বা ১০ বছর, টানা ১৮ বছর কমিটিহীন অবস্থায় পড়ে আছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা বা পৌরছাত্রলীগ। এমনকি ঢাকাদক্ষিন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগেরও কমিটি নেই প্রায় দেড়যুগ। এ অবস্থায় চরম হতাশায় অনেকেই যখন হা-পিত্যেশ করছেন, ঠিক তখনই সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ।তারা গোলাপগঞ্জের তিনটি ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করতে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে তারা নেতৃত্বে আসতে ইচ্ছুকদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি সাধারণ সিভি সংগ্রহের কর্মসূচিটাকে অসাধারণ রূপ দিয়েছে। অনেকেই একে সম্মেলন বলেও মনে করেছেন।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন।
গোলাপগঞ্জ পৌরমিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন নাজমুল ইসলাম। রাহেলে সিরাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও নাঈম আহমদ।
সভায় স্থানীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, দীর্ঘদিন কমিটিহীন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পৌর ও ঢাকাদক্ষিন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগে এখন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। সিভি সংগ্রহ উপলক্ষ্যে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে রীতিমতো উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এই আগ্রহ ও উৎসাহ ধরে রেখে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়ের মাধ্যমে গোলাপগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করে এগিয়ে নিতে হবে।
তারা এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে নেতৃত্ব বাছাইয়ের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে গোলাপগঞ্জের এই তিনটি ইউনিটের নেতৃত্বে আসতে ইচ্ছুক ছাত্রলীগ নেতাদের জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।
কমিটির ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা সিলেট প্রতিদিনের সাথে আলাপকালে বলেন, গোলাপগঞ্জ রাজনীতির জন্য সিলেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এই উপজেলায় সৎ, ত্যাগী এবং যোগ্যতা সম্পন্নদের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে পারলে ছাত্রলীগ আরও গতিশীল হবে। আমাদের প্রত্যাশা, সংশ্লিষ্টরা বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ জানিয়েছেন, নেতৃত্বে আসতে ইচ্ছুক প্রচুর নেতার জীবন বৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন এগুলো যাচাই বাছাই করা হবে। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে আমরা যতদ্রুত সম্ভব গোলাপগঞ্জের তিনটি ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করেছিলো গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ। খায়রুল হককে সভাপতি ও রুহিন আহমদ খানকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল সেই কমিটি। পরে ২০০৭ সালে রুহিন পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নেন এম.এ ওয়াদুদ এমরুল। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কমিটিহীন গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ।