নিউজ ডেস্ক :: রাজধানীর গোলাপবাগে বিএনপির সমাস্থলে নিরাপত্তা জোরদারে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে র্যাব। শনিবার সকালে র্যাবের এর আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিকালে সমাবেশের জায়গা গোলাপবাগ মাঠ ঠিক হওয়ার পর সমাবেশস্থলসহ পুরো রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশপথ ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও অলি-গলিতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন র্যাব-পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। কোনো যাত্রী বা পথচারীদের সন্দেহ হলেই আটক করা হচ্ছে। পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোনের মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপও চেক করতে দেখা গেছে। ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা রোধে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোনো ধরনের হামলার আগাম শঙ্কা না থাকলেও সমাবেশ ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আর সমাবেশ শুরুর ৫ দিন আগেই র্যাব জানিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বসানো হবে চেকপোস্ট, প্রস্তুত রাখা হবে হেলিকপ্টার ইউনিটও।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘রাজধানী ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থাপনা রয়েছে। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিদেশি স্থাপনা ও অ্যাম্বাসি রয়েছে। ঢাকা শহরের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেষ্ট রয়েছি। তিনি বলেন, ‘শুধু এই জনসমাবেশ ঘিরে নয় আমরা সবসময় রাজধানী জননিরাপত্তা, দেশীয় ভাবমূর্তি রক্ষা, দেশীয় ভাবমূর্তি যেন বিদেশিদের কাছে ক্ষুন্ন না হয় সে ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছি। যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাব। আমাদের বোম ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড, হেলিকপ্টার ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।’