শিরোনাম :
বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় গুলির ঘটনায় সরকারের নিন্দা ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে মতবিনিময়কালে খন্দকার মুক্তাদির অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সুযোগ পেলে জীবনের শেষ সময়গুলো জনগণের খেদমতে উৎসর্গ করতে চাই-মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিলেট মহানগর ১নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী-সুধী সমাবেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছায়াতলে মানবিক সংকট বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি শ্রমিকদের দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের মানববন্ধন নির্বাচন হবে স্বাধীন ও উৎসবমুখর : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৫

গোয়াইনঘাটে ধর্ষণের পর মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

রিপোর্টার নামঃ
  • বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত এক নারীকে গত ১১ ডিসেম্বর রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- উপজেলার মুজিব নগর গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে জব্বার মিয়া, একই গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া ও বুধিগাঁও হাওর গ্রামের হারুণ অর রশিদের ছেলে সেবুল মিয়া।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর দুজনও পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।

গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ সাংবাদিকদের জানান, আসামি বাচ্চু মিয়া, জব্বার মিয়া ও সেবুল মিয়া নিয়মিত ইয়াবা সেবন করত। তারা মাঝে মধ্যে ভারতীয় খাসিয়াদের বাগান থেকে সুপারি চুরি করত। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় ছিচকে চুরির অভিযোগ রয়েছে।

তিনি জানান, গত ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বাচ্চু মিয়া, জব্বার মিয়া ও সেবুল মিয়া জব্বারের ঘরে বসে ইয়াবা সেবন করে। এক পর্যায়ে তারা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরে কেক, বিস্কুট ও কোমল পানীয়র লোভ দেখিয়ে তামাবিল পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন বাজার থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে স্থানীয় একটি টিলায় নিয়ে যায়। সেখানে তিনজনে মিলে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে বাধা দিলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে লাঠি ও পাথর দিয়ে ওই নারীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পরদিন সকালে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

পরে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শেখ মো. সেলিম, গোয়াইনঘাট সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ এবং গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে. এম. নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে সিআইডি ও পিবিআইর ফরেনসিক টিম নিহতের পরিচয় শনাক্তের জন্য মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ঘটনার আলামত সংগ্রহ করে।

এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ১২ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের দিকনির্দেশনায় ক্লু-লেস মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এমরুল কবির এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করেন।

পুলিশ জানায়, জব্বার মিয়াকে গত ১৫ ডিসেম্বর, বাচ্চু মিয়াকে ১৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ১৯ ডিসেম্বর রাতে সেবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পাথরখণ্ড, ওই নারীর কাপড় ও ব্যবহৃত কম্বলের পোড়া অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে. এম. নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, অজ্ঞাত ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ঘুরাঘুরি করত। রাতে তামাবিল পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন বাজারে কাশের পাগলার ভাঙারির দোকানের সামনে ও আশরাফের বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত ঘরে রাত্রি যাপন করত বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

 

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain