স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা কদমতলী ফেরী ঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় স্থানীয়দের সহায়তা জুয়া ও তীর শিলংয়ের আসরে অভিযান চালিয়ে গুড়িয়া দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকাল ৩টায় দক্ষিন সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জের সার্বিক তত্বাবধানে কদমতলী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জের নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বস রিপনের উৎসাহে এলাকার যুবক ও মুরুব্বীরা কুখ্যাত জুয়ারী হারুন মিয়ার জুয়ার আসর গুড়িয়ে দেয়ায় এলাকাবাসী আনন্দ উল্লাস করছে। জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে সুরমা নদীর ফেরিঘাট এলাকায় শিলংতীর ও জুয়ার আসর পরিচালিত করে আসছে কুখ্যাত জুয়ারী হারুন মিয়া ও তার সহযোগিরা। বার বার তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থানা পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে নামেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রমজান আলী জানান, হানুনের জুয়ার আসরের কারণে আমাদের এলাকার উঠতি বয়সী যুবক ও শ্রমজীবি মানুষরা তাদের কষ্টার্জিত আয়ের কোন টাকাই সংসারে ব্যয় করতে পারত না। বেশী লাভের আশায় সব শেষ করে খালি হাতে বাড়ী ফিরত এবং অভাব অনটনের কারণে সংসারে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এই জুয়ার আসরটি ভেঙ্গে দেয়ায় হাজারো পরিবারের সুখ ফিরে আসবে বলে মনে করি। এ ধরনের জুয়ার আসর যেন ভবিষ্যতে না বসতে পারে সে দিকে পুলিশের কড়া নজর রাখতে হবে।
২নং ওর্য়াড কাউন্সিলর তৌফিক বস রিপন জানান, আমাদের সুরমা নদীর খেয়াঘাটে দীর্ঘ দিন যাবৎ কুখ্যাত জুয়ারী হারুন মিয়ার নেতৃত্বে অসমাজিক কার্যকলাম করে আসছিল। এ খেলায় এলাকার যুবক-যুবতীরা বেশী লাভের আশায় ফকির হয়ে যেতো। বার বার এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিন সুরমা থানা পুলিশের সহায়তায় আজ আসরটি গুড়িয়ে দেয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষ আর নি:স্ব হবে না। আমি চাই পুলিশ সব সময় এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। পুলিশ ও স্থানীয়দের চাপের মুখে জুয়ারী হারুন মিয়া ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় এবং এলাকাবাসী তার আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফাঁড়ি ইনচার্জ আবুল হোসেন জানান, দক্ষিন সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কঠোর নির্দেশে স্থানীয়দের সহায়তায় হারুন মিয়ার জুয়ার আসর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে দক্ষিন সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ সামসুদ্দোহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দক্ষিন সুরমা থানা এলাকায় কোন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ কিংবা জুয়ার আসর বসতে দেয়া হবে না। যেখানেই এ ধরনের বেআইনী কার্যকলাপ চলবে সেখানেই পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।