নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের নবনির্বাচিত সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মধ্যস্থতায় নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছেন বৃহত্তর জৈন্তিয়া ১৭ পরগণা সালিশ সমন্বয় কমিটি ও সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে সিলেটে হচ্ছে না পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি।
গত ৭ জুলাই রাতে সিলেটের জৈন্তাপুরে বাসচাপায় ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই দুই সংগঠনের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ৯ জুলাই থেকে বৃহত্তর জৈন্তিয়া ১৭ পরগণা সালিশ সমন্বয় কমিটির আহবানে সিলেট-তামাবিল-জাফলং, সিলেট-কানাইঘাট ও সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে বাস-মিনিবাস বর্জন করতে শুরু করেন যাত্রীরা। এর প্রতিবাদে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ১০ ও ১১ জুলাই সিলেট-তামাবিল সড়কে কর্মবিরতি পালন করেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে ১৭ পরগণা সালিশ সমন্বয় কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সেই কর্মবিরতি স্থগিত করে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। তবে রবিবার (১৬ জুলাই) এক প্রতিবাদ সভায় ফের জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় এই শ্রমিক সংগঠন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রবিবার বিকালে জৈন্তাপুরে ১৭ পরগনার বৈঠকে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
জানা যায়, তিনি ১৭ পরগনার রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী নিজ হাতে পান-বাটা নিয়ে হাজির হন বৈঠকে। এতে খুশি হন বৃহত্তর জৈন্তাপুরের মুরুব্বিরা এবং তারা হাসিমুখে আনোয়ারুজ্জামানের পান-বাটা গ্রহণ করেন।
বৈঠকে জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ১৭ পরগণার মুরুব্বি কামাল আহমদ জানান, আমাদের চলমান আন্দোলনের একটি সম্মানজনক নিস্পত্তি চান ১৭ পরগণাবাসী। নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জৈন্তাপুরের ডেফলতলার বৈঠকে আসেন। তিনি ১৭ পরগণার মুরুব্বিদের রাতে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যাওয়ার দাওয়াত দেন। সেখানে পরিবহন শ্রমিক নেতারাও উপস্থিতহন। ওই বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে কথা হয় এবং আজ সোমবার সন্ধ্যায় ১৭ পরগণার বৈঠকে পরিবহন শ্রমিক নেতারা উপস্থিত হবেন। আশা করি সেখানে আলোচনাসাপেক্ষে পূর্ণ সমাধান হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল আহমদ বলেন- আজ (সোমবার) সিলেট-তামাবিল সড়কে যাত্রীরা বাস-মিনিবাস বর্জন করেননি।
এ বিষযে জানতে জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভি করেননি।