অনুসন্ধান নিউজ :: সীসা দূষণ বন্ধ হলে, বাড়বে শিশু বুদ্ধি বলে এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সীসা দূষণ সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে বর্তমান সীসা দূষণের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য সিলেট জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ নভেম্বর নগরীর এটি অভিযাত হোটেলে আয়োজন করে সিলেট জেলা সিভিল সার্জন অফিস। এতে সহায়তা করে ইউনিসেফ সিলেট ফিল্ড অফিস। সিলেট জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী এর সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিলেট বিভাগের মানাবর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ হারুন অর রশীদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ চীফ অব ফিল্ড অফিস-সিলেট কাজী দিল আফরোজা ইসলাম, অন্যানাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.জন্মেজয় দত্ত, ইউনিসেফ সিলেট ফিল্ড অফিসের স্বাস্থ্য অফিসার ডা. মির্জা ফজলে এলাহী।
মেডিকেল অফিসার-সিভিল সার্জন অফিস, ডা স্বপ্নীল সৌরভ রায় এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডা. স্নিগ্ধা তালুকদার ও ডা তনুশ্রী তালুকদার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বে প্রতি তিন জন শিশুর একজন সীসা দূষণের শিকার। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই হার ৬০ শতাংশ এবং প্রায় তিন কোটি ষাট লক্ষ শিশুর রক্তে সীসার মাত্রা মাইক্রোগ্রাম পার ডেসিলিটার এর বেশি। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ আক্রান্ত দেশ।
ইউনিসেফ এর সহায়তায় আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে ২০২২ সালে সিলেটের ২৪৮ জন সহ টাঙ্গাইল, খুলনা ও পটুয়াখালীর সর্বমোট ৯৮০ জন বাচ্চার রক্তে সীসার মাত্রা পরিমাপ করা হয়। পরীক্ষায় প্রত্যেকের নমুনায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সীসার উপস্থিতি পাওয়া যায় যেখানে গড় মাত্রা ছিল মাইক্রোগ্রাম পার ডেসিলিটার যা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা WHO ও আমেরিকার জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা সিডিসি কর্তৃক নির্ধারিত মাত্রার চেয়েও বেশি।
সিলেটে ব্যাটারী তৈরীর কারখানা বা অন্যান্য শিল্প কারখানা কম থাকা সত্ত্বেও সীসার গড় মাত্রা পাওয়া যায় ৮.৩ মাইক্রোগ্রাম পার ডেসিলিটার এবং প্রায় ৮৪ ভাগ শিশুর ক্ষেত্রেই রক্তে সীসার মাত্রা ছিল সিডিসি কর্তৃক নির্ধারিত মাত্রার ( চেয়ে বেশি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় সীসার উৎস সম্পর্কে আরও জানার জন্য এই বছর এই বাচ্চাদের বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পণ্য ও ব্যবহার্য জিনিসপত্রের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং আগামী বছর পুনরায় রক্ত পরীক্ষা করা হবে।
উল্লেখ্য রক্তে সীসার কোন নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রা নেই, অর্থাৎ যেকোন পরিমাণ সীসার উপস্থিতি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।