নিউজ ডেস্ক :: গত ৮ ডিসেম্বর এক আদেশে আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায় ভারত। এ সিদ্ধান্ত আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিলেটে দুই লাফে ১০০ থেকে ২০০ টাকা, এমনকী বাজারভেদে ২৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম।
তবে অসৎ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে ইতিপূর্বে পেঁয়াজে দাম বাড়লে ‘আরও দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায়’ দোকানে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়লেও এবার ছিলো ভিন্ন চিত্র। সিলেটে অসৎ মজুতদারদের কারসাজিতে রাতারাতি অযৌক্তিক মূল্য বাড়ার পর ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। গত কয়েকদিন ধরে মানুষের মাঝে এই নিত্যপণ্যটি কিনতে অনীহা দেখা যায়। ফলে বাজারে এবার কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে পেঁয়াজের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ সংকটের শুরু হয় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর থেকে। তবে, এবার দাম বাড়ার পর দেখা গছে ভিন্ন চিত্র। এবার বাড়তি দামের বিরুদ্ধে এক হন ভোক্তারা। সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকতে প্রচারণা চালানো হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এছাড়া বাজারে আসতে শুরু করেছে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ। সব মিলিয়ে ঝাঁজ কমছে পেঁয়াজের।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কম হওয়ায় বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ। সে সঙ্গে পেঁয়াজ পাতারও চাহিদা বেড়েছে। বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি আর তুরস্ক থেকে আমদানি করা বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়।
অন্যদিকে, বেশি দামে কিনে রাখায় বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। এমনকি পচতেও শুরু করেছে অনেকের পেঁয়াজ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রেতা দোকানিরা পেঁয়াজের পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও সেগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। ফলে, অনেকের পেঁয়াজই পচতে শুরু করেছে, যেগুলো আলাদা করে আরও কম দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
সিলেট কালীঘাটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নিলাঞ্জন দাস টুকু -কে বলেন, কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজের কাটতি কম। ক্রেতা কম হওয়ায় দাম নামতে শুরু করেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। আরও নামতে পারে দাম।