নিউজ ডেস্ক :: সিলেটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একের পর এক অভিযানের পরও আবাসিক হোটেলগুলোতে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না অসামাজিক কার্যকলাপ। মহানগরের বেশিরভাগ আবাসিক হোটেলে চলছে নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা। সর্বশেষ সিলেটের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১২ তরুণ-তরুণীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
রবিবার (৩ মার্চ) রাত নয়টার দিকে মহানগরের কদমতলী সাকিনস্থ হোটেল সাগর এন্ড রেস্ট হাউজ থেকে তাদের আটক করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগ জানায়, রাত ৯ টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কদমতলী সাকিনস্থ হোটেল সাগর এন্ড রেস্ট হাউজে অভিযান পরিচালনা করে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আটক করে। পরে তাদের মহানগরীর দক্ষিন সুরমা থানার মাধ্যমে পুলিশ স্কর্টের মাধ্যমে আদালতে সোপদ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রুজিনা বেগম(৩৮), রুজিনা আক্তার নূপুর (২৬), লতা আক্তার(২৮), খালেদা আক্তার (৩৫), বৃষ্টি বেগম (২৭), মরিয়ম বেগম (২২), মোঃ সাচ্চু মিয়া শান্ত (২৭), গোলাম কিবরিয়া (৪৮), দুলন মালাকার (৩০), সাঈদ হোসেন এলিল (২৪), মোঃ মাশরাফি (২১), মতিউর রহমান (৩৭)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এর আগে শনিবার (২মার্চ) সন্ধ্যারাত সোয়া ৮ টার দিকে সিলেট মহানগরের তালতলার হোটেল সুফিয়ায় (আবাসিক) অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে ৭ যুবক-যুবতীকে আটক করেছে সিলেট মহানগর ডিবি পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার ভানুগাছ এলাকার কবির হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন (১৯), বড়লেখা উপজেলার উত্তর পাকনা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে আব্দুল জব্বার(২৭), সুনামগঞ্জ সদর থানার সরদারপুর গ্রামের মো.সেলিম মিয়ার ছেলে মাজহারুল ইসলাম(২১), দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার ধরমপুর গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে রাফি আহমদ(২৪), একই উপজেলার করিমপুর গ্রামের ইসমাইল আলীর মেয়ে রুবিনা বেগম(২১), গোয়াইনঘাটের হাদারপাড় গ্রামের ছেরাগ আলীর মেয়ে লুতফা বেগম(৩০), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ধনপুর গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে শাহীনা আক্তার(২১)।
আটক ১৯ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএমপি উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।