নিউজ ডেস্ক :: চলতি বছর রমজান মাসে বাজারে গেলেই করুণ এক পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। বাজারে কোনো সুখবর নেই। নানান ধরনের ঘোষণা থাকলেও তার নেই বাস্তবায়ন। এরই মধ্যে সিলেটের বাজারে আবার বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সিলেটের বাজার ঘুরে চালের দাম বৃদ্ধির তথ্য জানা গেছে। যদিও বাজারে আমন ধানের চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তারপরও বিআর-২৮, পাইজাম, গুটি ও মিনিকেট চালের দাম গত তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে ২ টাকা করে বেড়েছে।
জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনের পরপর চালের দাম কেজিতে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। এরপর কিছুটা কমে মাস দেড়েক স্থিতিশীল ছিল। এখন আবার মিল পর্যায়ে প্রতি বস্তা চালের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতাদের দাবি তাদের কেনা দাম বেশি। এছাড়া উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ধানের দাম বেড়েছে।
ক্রেতার জানান, এই কয়েকদিন চালের দাম না বাড়লেও এখন সেটাও বেড়ে গেল। বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ছে, চালের ব্যবসায়ীরা আবার পিছিয়ে থাকবেন কেন? এটি বাজারের একটি চিরাচরিত প্রবণতা হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সবাই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।
ব্যবসায়ীরা জানান, চাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া এখন পরিবহন খরচও বেড়েছে। তাই দাম বাড়তি। আমরা ভেবেছিলাম রোজার আগে সরকার চাল আমদানি শুল্ক কমিয়েছে, দাম নিম্নমুখী থাকবে। কিন্তু দাম বেড়ে যাবে সেটা ভাবিনি। গ্রাহকরা হঠাৎ দাম বৃদ্ধির জন্য আমাদের দোষারোপ করছেন। তবে আমরা বেশি দামে কিনছি বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি।
যেসব মিলার বেশি দাম নিচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কয়েকজন খুচরাও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী।সূত্র:সিলেটভিউ