শিরোনাম :
বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনে ১২ বিষয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা আবেদনের নতুন প্রক্রিয়া চালু করছে মার্কিন দূতাবাস ব্যাপক সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবে কমিশন সিলেট বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী গীতিকার আছাব আলীকে সংবর্ধনা ৩১ দফা হলো জাতীয় রূপরেখা গঠনের নতুন দিগন্ত: সাহেদ আহমদ মিরাবাজারে কোতোয়ালী পূর্ব জামায়াতের শীতবস্ত্র বিতরণ সীমান্তে বিজিবি অভিযানে ১কোটি ১৫ লক্ষাদিক টাকার চোরাচালান জব্দ সিলেটে মেডিকেয়ার ও যশোদা হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সিলেট শাখার যৌথ মতবিনিময় সভা সিলেটে ডিবির জালে ৫ জুয়াড়ি আটক

তরুণদের নতুন দলকে স্বাগত জানাবে বিএনপি

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে
অনুসন্ধান ডেস্ক :: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমান বলেছেন, দেশের ছাত্র-তরুণরা রাষ্ট্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। এসব তরুণরাই গত দেড় দশকে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। গণতান্ত্রিন রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত এসব তরুণদের কেউ যদি জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে অবশ্যই বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন সেটি জনগনকে হতাশ করবে। কিংবা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগনের কাছে হবে অনাকাংখিত।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে এক শিক্ষক সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অবশ্যই আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তারণরা নতুন পথ রচনা করবে। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়, পথটি হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক। নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি ‘পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে’ বলে মন্তব্য করে তারেক বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে জনগনের রাজনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান কার্য্করী হাতিয়ার। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করার অর্থ নিজেদের অজান্তে পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা।

তারেক রহমান বলেন, সংস্কার এবং নির্বাচন বিএনপি দুইটারই পক্ষে। দুটি অত্যন্ত জরুরি। সংস্কার নাকি নির্বাচন। কেউ কেউ এমন উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রশ্ন নিয়ে কুট তর্ক করার অপচেষ্টা করেছে। আমরা যদি দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি দেখি তাহলে কিন্তু সেটি ভিন্ন। দেশের কোটি কোটি পরিবারের কাছে এই মুহুর্তে নির্বাচন এবং সংস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংসার পরিচালনা করা। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি অপরদিকে জনগনের চাপিয়ে দেয়া ভ্যাটের বোঝা। ফলে দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ এমনকি নিম্ন-মধ্যভিত্ত পরিবারের কাছেও সংসার টেকানোই অনেক ক্ষেত্রে দায় হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারে চলছে নিরব হাহাকার।

রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গনে জাতীয় শিক্ষক দিবস এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে এই শিক্ষক সমাবেশ হয়। সারা দেশ থেকে আসা কয়েক হাজার শিক্ষক এই সমাবেশে অংশ নেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় সংগঠনটি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় শিক্ষক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

শিক্ষকদের প্রাপ্য অধিকার বাস্তবায়নে বিএনপির ইতিবাচক ভূমিকা থাকবে বলেও তারেক রহমান তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain