অনুসন্ধান ডেস্ক :: সিলেট বিভাগের সবগুলো নির্বাচনী আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সিলেট বিভাগের সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত অনলাইন বৈঠকে ১৯টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই অনলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভাগের ১৯ আসনে আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সিলেট অঞ্চলের পরিচালক এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, সিলেটের ১৯টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। প্রত্যেক জেলার নেতৃবৃন্দের কাছে তালিকা আছে। নেতাকর্মীরা জনগণের আরও বেশি কাছে থেকে কাজ করছেন।
জামায়াতের নেতৃবৃন্দ জানান, ৫ আগস্টের পর জামায়াত বাধাহীনভাবে মাঠে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারছে। দলীয় কার্যক্রম বেগবান করার পাশাপাশি দলটি নিচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। সেই সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত তালিকা সূত্রে জানা যায়- সিলেট সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন এহসানুল মাহবুব জুবায়ের নিজেই। অন্য আসনগুলোর প্রার্থী হচ্ছেন, প্রফেসার এম এ হান্নান (সিলেট-২), মাওলানা লোকমান আহমদ (সিলেট-৩), জয়নাল আবেদীন (সিলেট-৪), হাফেজ আনোয়ার হোসেন খান (সিলেট-৫) ও সেলিম উদ্দিন (সিলেট-৬)।
সুনামগঞ্জের প্রার্থীরা হলেন, মাওলানা তোফায়েল আহমেদ খান (সুনামগঞ্জ-১), এডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির (সুনামগঞ্জ-২), এডভোকেট ইয়াছিন খান (সুনামগঞ্জ-৩), এডভোকেট মুহাম্মদ শামসউদদীন (সুনামগঞ্জ-৪), মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী (সুনামগঞ্জ-৫)।
মৌলভীবাজারের প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম (মৌলভীবাজার-১), মো. শাহেদ আলী (মৌলভীবাজার-২), মো. আব্দুল মান্নান (মৌলভীবাজার-৩), মো. আব্দুর রব (মৌলভীবাজার-৪)।
হবিগঞ্জের ৪টি আসনের প্রার্থীরা হচ্ছেন, মো. শাহজাহান আলী (হবিগঞ্জ-১), শেখ জিল্লুর রহমান আজমী (হবিগঞ্জ-২), অধ্যক্ষ কাজী মহসিন আহমেদ (হবিগঞ্জ-৩), কাজী মাওলানা মুখলিছুর রহমান (হবিগঞ্জ-৪)।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি ও জামায়াতসহ অনেক রাজনৈতিক দল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতের ২২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এর আগে ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটের অংশ ছিলো বিএনপি। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে ওই জোট তখন ক্ষমতায় গিয়েছিলো। তবে এককভাবে জামায়াত সবচেয়ে ভালো ফল করেছিলো ১৯৯১ সালের নির্বাচনে। সেই নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়েছিলো দলটি। তখন জামায়াতের সমর্থন নিয়েই সরকার গঠন করেছিলো বিএনপি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে নয়- এককভাবে লড়াই করতে চায় জামায়াত। এ লক্ষ্যে তারা সারা দেশে ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই করছে।