অনুসন্ধান ডেস্ক :: সিলেট রক্তের অনুসন্ধানে আমরা এর উদ্যোগে ২৪ তম বিনামুল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ সকাল ১০ ঘটিকায় সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে সিলেট রক্তের অনুসন্ধানে আমরা এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ তারেক আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রিহান উদ্দিন। উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অত্র সংগঠনের উপদেষ্টা, দৈনিক ইনফো বাংলা সিলেট ব্যুরো প্রধান উৎফল বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এ এইচ ফারুক আহমেদ, মানবিক কর্মী শেলু বড়ুয়া।
আরো উপস্থিত ছিলেন মানবিক সংগঠন সিলেট রক্তের অনুসন্ধানে আমরা এর প্রচার সম্পাদক জিৎ,সহ প্রচার সম্পাদক শুভ দাশ,সহ প্রচার সম্পাদক সেনাপতি সত্যি জিৎ, ব্লাড বিষয় সম্পাদক আকরাম আহমদ, সহ বিষয় সম্পাদক মিনারা বেগম,অর্থ সম্পাদক ঝুমরা বেগম,ধর্ম বিষয় সম্পাদক আরাফাত ইসলাম,সদস্য আকরাম আহমদ বাপ্পি,নাদিয়া, সেতু বড়ুয়া মুক্তা, সীমান্ত বড়ুয়া জয় প্রমুখ।
মানবিক কার্যক্রমে অতিথিরা বলেন,উক্ত মানবিক সংগঠন মানুষকে সচেতন ও নিজ নিজ রক্তের গ্রুপ জানানোর লক্ষ্যে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে মানুষকে সেচ্ছায় রক্ত দানে উদ্বোধকরণ কার্যক্রম নিয়মিত করে যাচ্ছেন। এটা একটি ভাল কাজ।
নিয়মিত রক্তদান করা একটি ভালো অভ্যাস। রক্তদান করা কোনো দুঃসাহসিক বা স্বাস্থ্যঝুঁকির কাজ নয়। বরং এর জন্য একটি সুন্দর মন থাকাই যথেষ্ট। রক্তদাতার শরীরের কোনো ক্ষতি তো হয়ই না, বরং নিয়মিত রক্তদান করলে বেশ কিছু উপকারও পাওয়া যায়। বরং প্রতিবার রক্তদানের পর রক্তদাতার অস্থিমজ্জা নতুন রক্তকণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। ফলে রক্তদানের দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে সে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।
কেন রক্ত দান করবেনঃ ১. প্রথম এবং প্রধান কারণ, আপনার দানকৃত রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাবে। রক্তদানের জন্য এর থেকে বড় কারণ আর কি হতে পারে ! ২. হয়তো একদিন আপনার নিজের প্রয়োজনে/ বিপদে অন্য কেউ এগিয়ে আসবে।৩. নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম।৪. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি। ৫. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়। ৬. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।’৭. নিজের মাঝে একধরনের আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি করতে পারবেন।”আমাদের ছোট পরিসরের এই জীবনে কিছু একটা করলাম” এই অনুভুতি আপনার মনে জাগ্রত হবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত করছি 🙂
রক্তদান একটি মহৎ কাজ। যা অনেকের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। তাই সুস্থ থাকলে সবাইকেই রক্তদান করতে উৎসাহিত করা উচিত। রক্তদানের মাধ্যমে আমরা যে শুধু অন্যের জীবন বাঁচাতে পারি তা নয়, নিজের স্বাস্থ্যেরও যত্ন নিতে পারি।