অনুসন্ধান ডেস্ক :: বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, ‘বিএনপি স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আড়াই বছর আগে দেশ পুনর্গঠনের কথা বলেছে, ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য জনগণ ও দেশ। তাই ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব। জনগণের ভোটে বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে পুনর্গঠন করা হবে। জনগণের সমর্থন নেই এমন কোনো কাজ বিএনপি করে না। বিএনপিই একমাত্র দল যেটি নিজ দলের দোষী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।’
তিনি বলেন, ‘বিভ্রান্ত হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। বিএনপি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না।’
তিনি শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের হল রুমে মহানগর বিএনপির ৪২টি ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন কর্মসূচি দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করে নবায়ন ফরম পূরণ করতে হবে। ২০১৭ সালের ১ জুলাই শুরু হওয়া সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমে যারা সদস্য পদ লাভ করেছেন, তারাই কেবলমাত্র সদস্য নবায়নের আওতাভুক্ত হবেন। যে সকল সদস্য ফ্যাসিবাদী সরকারের চিহ্নিত সহযোগী ছিলেন, তারা সদস্য নবায়নের সুযোগ পাবেন না। দলীয় সাংগঠনিক শাস্তির আওতায় যারা প্রাথমিক সদস্যপদ হারিয়েছেন, তারা নবায়নের সুযোগ পাবেন না। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা এবং নিয়মাবলী না মেনে যদি কোন সদস্যকে নবায়ন করা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নেতৃবৃন্দ দায়ী থাকবেন এবং প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্র কর্তৃক গঠিত মনিটরিং টিম প্রাথমিক সদস্য নবায়ন কার্যক্রম তদারকি করবেন।’
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মাহবুব কাদির শাহী, আমির হোসেন, ডাঃ আশরাফ আলী, আফজাল উদ্দিন, রহিম মল্লিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মূর্শেদ আহমদ মুকুল, শামীম মজুমদার, মির্জা বেলায়েত হাসান লিটন, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, মতিউল বারী খূর্শেদ, ফাতেমা জামান রোজি, আবুল কালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, জাকির হোসেন মজুমদার, রফিকুল ইসলাম রফিক, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মোহন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ এম এ হক বাবুল, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুনিম, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ফয়েজ আহমদ মুরাদ, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পাদক সবুর আহমদ খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রীনা আক্তার, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মুনিম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মিজান আহমদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মফিজুর রহমান জুবেদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদ মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক খায়েরুল ইসলাম খায়ের, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রহিম আলী রাসু, রেজাউর রহমান রুজন, সাব্বির আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, শফিক নূর, সহ অর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক আলী হায়দার মজনু, সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালিক সেকু, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক রুবেল বক্স, সহ স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজ পাঠান, সহ অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রানা, সহ যোগাযোগ সম্পাদক কয়েছ আহমেদ সাগর, সহ ত্রাণ সম্পাদক কামাল আহমদ, সহ ক্রীড়া সম্পাদক তারেক আহমদ, সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলী আমজাদ, সহ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর রাসেল, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোকন ইসলাম, সহ ধর্ম সম্পাদক শাহিন আহমদ, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এ এস এম সায়েম, সদস্য সেলিম আহমদ, আমিনুল ইসলাম আমিন, আলী আহমদ, রাজন মিয়া, পিয়ার উদ্দিন পিয়ার, ফখর উদ্দিন আহমদ পংকি, সুহেল আহমদ, চান মিয়া বাচ্চু, শাহজাহান আহমদ, ছালেক আহমদ, মতিউর রহমান শিমুল, ইফতেখার আহমদ পাবেল, জাহেদ আহমদ, শহিদূর রহমান সানি, শফিকুর রহমান সুমন, মোঃ হারুনুর রশিদ।
নবগঠিত সিলেট মহানগর বিএনপির আওতাধিন কোতোয়ালি থানা বিএনপির আহবায়ক অলিউর রহমান চৌধুরী সুহেল, জালালাবাদ থানার আহবায়ক শহীদ আহমদ, শাহপরান থানার সদস্য সচিব খূর্শেদ আহমদ খুশু, বিমান বন্দর থানার সদস্য সচিব সৈয়দ সরোয়ার রেজা।