শিরোনাম :
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলা জনগণের জন্য যারা রাজনীতি করে তারা কখনো পালিয়ে যায় না-কয়েস লোদী যু্বনেতা নেপু’র এর মায়ের মৃত্যুতে “কয়ছর এম আহমদ এর শোক “ যু্বনেতা নেপু’র এর মায়ের মৃত্যুতে “জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ জাতীয়তাবাদী ফোরাম ,সিলেট “এর শোক প্রকাশ ইফতার মাহফিলে এসএমপি কমিশনার রেজাউল করিম জিয়া মঞ্চ সিলেট শহীদ মিনারে গণ ইফতারে কয়েস লোদী সিলেটে কোটি টাকার মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি প্রবীণ মুরুব্বী নুরু মিয়ার মৃত্যুতে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র শোক প্রকাশ নারীর প্রতি সহিংস তার প্রতিবাদে এমসি কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন বাংলাদেশ জাসদ সিলেট জেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সিলেটে প্রথম রোজার ইফতারে জিলাপির জন্য ভিড়

রিপোর্টার নামঃ
  • রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধান ডেস্ক :: সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আম্বরখানা। এখানে ফয়েজ স্নেক্স, শরীফ বেকারিসহ ৪টি দোকানে জিলাপিসহ বিভিন্ন ইফতারি আইটেম বিক্রি করা হয়। তবে আম্বরখানা ও আশপাশের এলাকার মানুষজন এই দোকানগুলো থেকে জিলাপিই বেশি কিনেন। তাই প্রথম রমজানে ইফতারের একঘন্টা আগে থেকে এই দোকানগুলোতে জিলাপি কেনার জন্য ভিড় করেছেন মানুষজন। রীতিমত আগে যাবার প্রতিযোগিতা করে এই দোকানগুলো থেকে মানুষজন জিলাপি কিনেছেন।

প্রথম রমজান থেকেই সিলেটে ক্রেতা বিক্রেতায় জমজমাট ইফতার বাজার। বিশেষ করে জিলাপি কিনতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও দোকানে ভিড় করেছেন ক্রেতারা। রবিবার (২ মার্চ) বিকাল ৪টা থেকে সরগরম হয়ে উঠে সিলেটের ইফতার বাজার। সিলেট নগরীর হোটেল ও রেস্তোরাঁর সামনে শামিয়ানা টানিয়ে পেন্ডেল করে বিক্রি করা হয় ইফতার সামগ্রী। সিলেটের ইফতারিতে খিচুড়ি আর আখনি অপরিহার্য আইটেম। এই খাবারটি বেশিরভাগ মানুষ বাসায় তৈরি করেন। তবে ইফতারে চাহিদার শীর্ষে আরেক খাবার জিলাপি প্রায় সবাই বাইরে থেকেই কিনেন। তাই রোজার প্রথম দিনে ইফতারের আগ মুহূর্তে জিলাপি কিনার জন্য ভিড় করেছেন ক্রেতারা।

সরজমিনে দেখা যায়, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ পানসী, রাজবাড়ি, পালিক, উঠান রেস্টুরেন্টের সামনে আলাদা পেন্ডেল করে বিক্রি করা হচ্ছে নানা ধরেনের মুখরোচক ইফতার সামগ্রী। প্রায় প্রতিটি রেস্টুরেন্টেই ৪০ থেকে ৬০ পদের বাহারি ইফতার সামগ্রী বিক্রি করা হয়। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এই রেস্টুরেন্টগুলোতে ইফতারের বিশেষ প্যাকেজ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। ২০০ থেকে হাজার টাকা দামের প্যাকেজও আছে রেস্টুরেন্টগুলোতে। এছাড়াও নগরীর আম্বরখানা, জালালাবাদ, মদিনামার্কেট, আখালিয়া, রিকাবিবাজার, সুবিধবাজার, শিবগঞ্জ, মীরাবাজার, উপশহরসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার রেস্টুরেন্টেগুলোতেও নানা নানা পদের ইফতারি বিক্রি হচ্ছে।

দোকানিরা জানান, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি বছরের মতো এবারও ইফতারির মধ্যে চিকেন ও বিফ আখনি এবং পাতলা খিচুড়ি আছে। এর বাইরে জিলাপি, বেগুনি, আলুর চপ, ডিম চপ, পেঁয়াজি কিনছেন ক্রেতারা। তবে অনেক ক্রেতাই অন্য কোনো ইফতারি না কিনলেও জিলাপি ঠিকই কিনছেন। এর বাইরে চিকেন ফ্রাই, বাখরখানি, শাকের পাকুড়া, বিফ চাপ, ফিশ কাবাব, হালিম, চিকেন বারবিকিউ চাপও কিনছেন ক্রেতারা।

সিলেট নগরীর জালালাবাদ মিস্টার সুইট থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে জিলাপি কিনেছেন তুহিন আহমদ। তিনি বলেন, প্রথম রোজাতে আখনি, বেগুনিসহ প্রয় সব ধরনের ইফতারি আইটেম বাসায় রান্না করেছেন আমার মা ও স্ত্রী। শুধু জিলাপি কিনেছি দোকান থেকে। এবার জিলাপির দাম বেড়েছে। গতবারও ২০০ টাকা কেজিতে জিলাপি কিনেছি।

ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে নগরী আম্বরখানার একটি দোকান থেকে জিলাপি কিনেন হেলাল আহমদ। তিনি বলেন, ইফতারে আমাদের বাসায় পাতলা খিচুড়ি প্রধান খাদ্য। তবে জিলাপি না হলে ইফতার সম্পন্ন হয় না। তাই আমার স্ত্রী বলে দিয়েছে অফিস শেষ করে বাসায় যাওয়ার সময় যেন জিলাপি নিয়ে যাই। এখন শেষ মুহূর্তে জিলাপির ক্রেতা অনেক বেশি। তাই অনেকটা ভিড় ঠেলেই জিলাপি কিনেছি।

সিলেটের সুপরিচিত রেস্তোরা পানসী রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জাহাঙ্গির আহমদ বলেন, প্রতি বছরের মত এবার আমরা ইফতারি বিক্রি করছি। আখনি, খিচুড়, জিলাপি থেকে শুরু করে ৪৩টি খাবার আমার ইফতারে রেখেছি। বিফ আখনি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা,চিকেন আখনি প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, ভুনা খিচুড়ি প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, পাতলা খিচুড়ি প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি করছি। বিভিন্ন ধরনের জিলাপি আছে ৫০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও রমজানের স্পেশাল ইফতারি প্যাকেজ আছে ২২০ ও ২৪০ টাকায়। আমাদের রেস্টুরেন্ট থেকে ক্রেতারা পার্সেল নেন আবার অনেকেকে রেস্টুরেন্টে বসেও ইফতার করেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain