রেজওয়ান আহমদ ::: সিলেট নগরীর ব্যস্ততম বন্দর-আম্বরখানা বিমানবন্দর রোডের দরগাহ গেইট এলাকায় রাস্তা জুড়ে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। মূল সড়কের মধ্যে লাইন ধরে সিএনজি অটোরিক্সা পাকিংয়ের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালকরা এই এলাকা জুড়ে লাইন ধরে সিএনজি দাঁড় করিয়ে রাখছেন। পর্যটন নগরী হওয়ায় পর্যটকরা দূর-দূরান্ত থেকে সিলেটে বেড়াতে ও জিয়ারতে আসেন। এই এলাকায় হযরত শাহজালাল (র:) মাজার থাকায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মাজার জিয়ারত করার জন্য আসেন সাধারণ মানুষ। এই এলাকায় অবৈধ সিএনজি অটোস্ট্যান্ড থাকায় পর্যটক ও জিয়ারতকারীদের সড়ক দিয়ে চলাচল করতে দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এই অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অবৈধ স্ট্যান্ডের বিস্তার। সড়ক জুড়ে অবৈধ স্ট্যান্ডের ফলে পথচারীরাও দূর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন। অন্যদিকে এই এলাকা জুড়ে কয়েকটি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। অবৈধ স্ট্যান্ডের ফলে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগী নিয়ে আসতে অসুবিধায় পড়তে হয় স্বজনদের। প্রায় সময়ই এলাকাবাসী, পথচারী ও রোগীদের স্বজনদের সাথে খারাপ আচরণ করছে সিএনজি অটোচালকরা। এই এলাকায় অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড বসিয়ে চালকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলছেন অবৈধ স্ট্যান্ডের স্থাপকরা।
মঙ্গলবার (৬ মে) সরেজমিনে দরগাহ গেইট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নূরজাহান হাসপাতাল, শাহজালাল মাজারের প্রবেশপথ সহ আশেপাশের সড়কের মধ্যে শতাধিক গাড়ির অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে।
পথচারীদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কের উপরে চালকরা সিএনজি অটোরিক্সা দাঁড় করিয়ে রাখেন। যার ফলে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে তেমনি পথচারীদের চলাচল করতে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে।
চালকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। তার কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, স্ট্যান্ডে গাড়ি রেখে যাত্রী তুললে স্ট্যান্ড পরিচালককে চাঁদা দিতে হয়। না হলে এই স্থানে যাত্রী তুলতে পারবে না এবং গাড়ি রাখা যাবে না। যারাই এই এলাকায় গাড়ি রেখে যাত্রী তুলবে তাদেরকে অবশ্যই চাঁদা দিতে হবে। অবৈধ স্ট্যান্ডের ছবি তুলতে গেলে ঐ চাঁদা আদায়কারী ব্যক্তি কয়েকজন চালককে নিয়ে এসে বাঁধা সৃষ্টি করে এবং গণমাধ্যম কর্মীকে নানা হুমকি-ধামকি দেয়।