শিরোনাম :
অতিরিক্ত আইজিপি হলেন এসএমপি কমিশনার-রেজাউল করিম জিয়া মঞ্চ সিলেট জেলার উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো ও নির্বাচিত সরকার শীর্ষক সভা বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার : সিলেটে সালাহউদ্দিন আহমদ দিনাজপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৪ হবিগঞ্জে বাস খাদে পড়ে ২০ যাত্রী আহত সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ সুফল পাবে: হুমায়ূন কবির শাহীন বিমান বন্দর থানা বিএনপির দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে মিছিল পলিটেকনিক্যালের ঝুঁকিপূর্ণ দেয়াল নিয়ে বিপাকে এলাকাবাসী-দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান কয়েস লোদী মোহনা সমাজ কল্যাণ সংস্থার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার : সিলেটে সালাহউদ্দিন আহমদ

রিপোর্টার নামঃ
  • সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধান ডেস্ক :: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে দেশের একনায়কতন্ত্রীক সংবিধান বাকশালকে বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ার উপর অবিচল আস্তা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি দেশের সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সকলের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের ধর্মীয় চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন এদেশে ধর্ম-বর্ণ, ভাষা ও জাতির ভিত্তিতে বিভক্তি হবে না, সবাই বাংলাদেশী। দেশকে নতুন করে গড়ার মুহুর্তেই তিনি কুচক্রী মহলের হাতে শাহাদাত বরণ করলেন। কিন্তু তিনি বেঁচে রইলেন দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে। বিএনপি জনগনের দল। বিএনপি থাকলে দেশের সাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে, বিএনপি দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে। বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হতনা, বিএনপি সুসংগঠিত না থাকলে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হত না, তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু হতো না। তাই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার।

সোমবার বিকেলে সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে সিলেট বিভাগে বিএনপির নতুন সদস্য সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যেই মানুষ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, যিনি নিজেকে বাংলাদেশী পরিচয় দিবেন, তিনিই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হতে পারবে। এই দেশের প্রতিটি ধুলি কনাকে বিএনপি ধারন করে, লালন করে। বাংলাদেশে অফিসিয়ালি ১৮ কোটি জনগণ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা এখন ১৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিএনপির কি এতো আকাল পড়েছে যে আওয়ামীলীগ থেকে সদস্য আমদানী করতে হবে? যেই আওয়ামীলীগের ডিএনএ’তে গণতন্ত্র নাই, তাদেরকে কেন আহবান করতে হবে বিএনপির সদস্য হওয়ার জন্য? গত বছরের ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামীলীগকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। আওয়ামীলীগ ইতিহাসের জগন্যতম গণহত্যাকারী। তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আজ পর্যন্ত তারা নিজেদের অপকর্মের জন্য কোন অনুসূচনা করেনি বা ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। উল্টো তারা গণঅভূত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দুষ্কৃতকারী বলে আখ্যয়িত করছে। তারা কি ভাবে বাংলাদেশ রাজনীতি করতে পরবে? আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২৩ সালেই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষনা দিয়েছিলেন। আমরা জানতাম, একদিন নিষ্টুর ভাবে ফ্যাসিবদের পতন হবে। যারা দেশের জনগনকে হত্যা করেছে, পঙ্গু করেছে, গুম, অপহরন করেছে তাদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ যেন কোন দিন আর স্বৈরশাসকের বা ফ্যাসিবাদের উৎপাদন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ড. এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম.এ মালিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যারা পুরনো সদস্য তারা নবায়ন করব। আর যাদের বয়স ১৮ হয়েছ, কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন, যারা আমাদের দলের নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী, তারাই নতুন সদস্য হবেন। যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে লালন করে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আস্থাশীল তারা নতুন সদস্য হতে পারবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে যারা সদস্য হতে আগ্রহী তারা সকল তথ্য দিয়ে সদস্য হতে পারবেন। প্রতিটি ফরমের সাথে একটি ঘোষনা পত্র দেয়া হয়েছে, তা পুরণ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে সদস্য করতে হবে। কিন্তু সদস্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা যেন কোন ভাবেই সদস্য হতে না পারে।

সিলেট জেলা ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা নুরুল হকের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সূচিত সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে দায়িত্বে) তারিকুল আলম তেনজিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম. নাসের রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহবায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মিজানুর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন, হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ নতুন প্রজন্মকে শহীদ জিয়ার আদর্শে উজ্জিবিত করে আমরা দলের সদস্য করা হবে। তবে ফ্যাসিস্টদের দোসররা যাতে বোলপাল্টিয়ে দলের প্রবেশ করতে না পারে দেই দিকে সবাই খেয়াল রাখব।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল হক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক নুরুল ইসলাম, জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ আরাফুল কবির খোকন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা ও মহানগর, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন সহ সিলেট বিভাগের সকলা উপজেলা, পৌর এবং সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain