অনুসন্ধান ডেস্ক :: অবিলম্বে বিআরটিএ কর্তৃক ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান, চট্টগ্রামের সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আল কাদেরী জয় সহ আটক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (২১ মে) বিকাল ৪টায় সিলেট নগরীর পাঠানটুলা পয়েন্টে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সহ সভাপতি মিন্টু যাদব এর সভাপতিত্বে ও মহানগর শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আহমদ এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা সভাপতি আবু জাফর, মহানগর সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, জেলা শাখার সহ সাধারণ ফখরুল ইসলাম, মহানগর শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, আফজাল হোসেন,হানিফ আহমদ,শানুর আহমদ, তানবীর আহমদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্র-শ্রমিকদের রক্তের বিনিময়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষিত একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায্য ও সমতার রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু আমরা দেখছি তাদের কর্মকান্ডে জনগণের মোহভঙ্গের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ হয়ে প্রায় ৮০ হাজার শ্রমিক নতুন করে বেকার হয়েছে। পূর্বের বন্ধকৃত কলকারখানা চালু হয়নি। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি কমছে না। এমতাবস্থায় মানুষ নিরুপায় হয়ে ব্যাটারী চালিত তিন চাকার যান চালিয়ে কোনমতে পরিবারের ভরন পোষণ চালাচ্ছে। সারাদেশে প্রায় ৫০ লক্ষ পরিবার বর্তমানে এই পেশার উপর নির্ভরশীল। কিন্তু সরকার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে এসব গাড়ি জব্দ, ভাঙচুর এবং চালকদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে গাড়ি আটকের প্রতিবাদে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির সমাবেশ থেকে বিনা উসকানিতে পুলিশ সংগ্রাম পরিষদের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি শ্রমিক নেতা আল কাদেরী জয়, সদস্য রোকন এবং ছাত্র নেতা মিরাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মত অগণতান্ত্রিক আইনে আটক করে রেখেছে। নেতৃবৃন্দ আটককৃত নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে জব্দকৃত গাড়ি ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনতে হলে অবিলম্বে ‘থ্রী-হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা-২০২৪’ চূড়ান্ত করে বিআরটিএর তত্ত্বাবধানে ব্যাটারিচালিত তিনচাকার যানের নিবন্ধন, চালকদের লাইসেন্স ও প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
বক্তারা ঈদের আগে সিলেট নগরীতে অহেতুক ব্যাটারি চালিত যানবাহন শ্রমিক হয়রানি না করার জন্য ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।