অনুসন্ধান ডেস্ক ::: জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে দেশে ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। এদেশে আর নতুন কাউকে ফ্যাসিবাদ হতে দেয়া যাবেনা। কারণ ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছে। কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠার চেষ্টা করলো ছাত্র-জনতা ফের রাজপথে নেমে আসবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াত কাজ করছে। জামায়াতের আহ্বানে জনতার ব্যাপক সাড়া মিলছে। মানুষ পরিবর্তন চায়, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ চায়। জাতির সেই আকাঙ্খা পূরণে জামায়াত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক হবে সিলেটবাসীর আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক। নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সকল স্তরের জনশক্তিকে এখন থেকেই ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে হলে নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দিতে হবে। ফ্যাসিবাদ রুখতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ জামায়াত ঘোষিত ৫ দফা দাবী মেনে নিতে হবে। পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। যারাই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করবে জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালী পশ্চিম থানা জামায়াতের উদ্যোগে ভোট কেন্দ্রভিত্তিক দায়িত্বশীলদের নিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। থানা আমীর মু. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী পারভেজ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের অফিস সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল মুকিত।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- থানা নায়েবে আমীর এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ইফতেখার আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন, দেওয়ান আসকীর আলী, মাজহারুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রাজিক মিয়া, ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাদির, প্রবীন জামায়াত নেতা রমজান আলী মাস্টার, রফিকুল ইসলাম, হাফিজ আব্দুল আলীম ও শ্রমিক নেতা জাবেদ আহমদ প্রমূখ। সমাবেশে কোতোয়ালী পশ্চিম থানার সকল ওয়ার্ডের সেন্টারের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।