অনুসন্ধান ডেস্ক ::: আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী থেকে শুরু হওয়া দুর্গোৎসব বিজয়া দশমীর দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে বিহিত পূজা, পুষ্পাঞ্জলি ও শান্তির জল ছিটানোর পর দেবী দুর্গাকে সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নবমী পূজার পর দেবী মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যান। তাই দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতার। দর্পণ বিসর্জনের পর রীতি অনুযায়ী, নগরীর বিভিন্ন মণ্ডপে দেবীকে সিঁদুর, তেল, পান-চিনি নিবেদন করে ভক্তরা অশ্রুসজল নয়নে বিদায় জানান। বিসর্জনের মাধ্যমে আগামী বছরের অপেক্ষায় থাকেন ভক্তরা। প্রতি বছরের মতো এবারও সিলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিমা বিসর্জনের কাজ শুরু হয়।
শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটেও বিজয়া দশমীতে নারীরা মেতে উঠেছিলেন সিঁদুর খেলায়। এরপর জমে উঠে কিনব্রিজের উত্তরাপ্রান্ত। কয়েকশ’ ট্রাকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে সেখানে জড়ো হন পূণ্যার্থীরা।
এসময় উলু, শঙ্খধ্বনীতে, ঢাকঢোল কাঁসর ঘন্টায় মুখরিত হয়ে উঠে চারদিক। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন মন্ডপ থেকে প্রতিমা ট্রাকে নিয়ে শোভাযাত্রা করে পূণ্যার্থীরা জড়ো হতে থাকেন নগরীর কিনব্রিজের উত্তরপ্রান্তে, চাঁদনীঘাটে।
এসময় সুরমা পয়েন্ট, সুরমা মার্কেট, জেলা পরিষদের সম্মুখভাগ ছিল লোকেলোকারণ্য। ঢাক-ঢোল ও নৃত্যের সাথে ভক্তরা ‘বলো দুর্গা মাই কি’ শ্লোগানে মুখরিত করে তুলেন চারপাশ। এছাড়াও রেকর্ডে বাজতে থাকে বিভিন্ন ধরনের গান। অবশ্য বিসর্জনকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটেরও সৃষ্টি হয়। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সচেতন মহলের অনেকে। এ বছর সিলেট জেলা ও মহানগরে মোট ৬১৮টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে সিলেট মহানগরে সার্বজনীন ১৪২টি ও পারিবারিক ২০টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় সার্বজনীন ৪২৭টি ও পারিবারিক ২৯টি পূজা হয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে এবার দুর্গাপূজা শুরু হয়। পূজা কোথাও কোনো অঘটনের সংবাদ পাওয়া যায়নি।