অনুসন্ধান ডেস্ক ::: সিলেটে উৎসব আনন্দে দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে ২০২৫। প্রথমবারের মতো এই আয়োজনে জড়ো হয়েছিলেন সিলেটের নামি-দামি হোটেল রেস্তোরারপ্রায় দুই শতাধিক শেফ। গতকাল ( সোমবার) এই উপলক্ষে সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়াস্থ প্যারালাক্স রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে উপলক্ষে দিন ব্যাপী ছিলো অনুষ্ঠানমালা। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বের হয় বর্ণাঢ্য র্যালী। দাড়িয়াপাড়া থেকে বের হয়ে চৌহাট্রা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় এসে অনুষ্ঠান স্থলে মিলিত হয়। সেখানে প্রথম পর্বে শেফ রা তাঁদের কর্মজীবনের নানা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় বেলা সাড়ে ১২ টায়। অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট উইমেন চেম্বারের সভাপতি লুবানা ইয়াছমিন শম্পা, ট্যুর অপারেটর’স এসোসিয়েশন অব সিলেট এর সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শেফ-ডে উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা লেখক সাংবাদিক মোঃ ফয়ছল আলম, সম্মাননা প্রাপ্ত শেফ নাজির দেওয়ানা, সাজ্জাদ আহমদ। শেফস এন্ড কুকস, সিলেট ডিভিশনের আহ্বায়ক, সেলিব্রিটি শেফ কোহেল আহমদ তাপাদারের সভাপতিত্বে ও উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা এস এ রিপনের প্রানবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সিলেটের গুণী শেফদের সম্মাননা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, এস এম সাজ্জাদ শেফ, আবুল কাশেম,হেলাল আহমদ, আজহার উদ্দিন, শাহআলম, ইমন আহমদ প্রমুখ। এমঞ্চেই মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে কেক কেটে শেফ দিবস উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার বলেন, সিলেটের পযর্টন শিল্প কে এগিয়ে নিতে রন্ধন শিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন । তাদের কারনেই সিলেটের পর্যটন নির্ভর প্রতিষ্ঠান গুলো এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সর্বক্ষেত্রে শেফদের যথাযথ মর্যাদা এবং মূল্যায়ন করা উচিত। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির বলেন, সিলেটের পযর্টন সম্ভাবনা সর্বজন স্বীকৃত। প্রয়োজন শুধু সকল সেক্টরের সমন্বয়। এটি করতে পারলেই সিলেটের পর্যটন এগিয়ে যাবে। এজন্য সবার আগে শেফদের মূল্যায়ন জরুরি। সিলেট উইমেন চেম্বারের সভাপতি লুবানা ইয়াছমিন শম্পা তাঁর বক্তব্যে সিলেটের শেফদের কল্যাণে যেকোন মহতি উদ্যোগে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। টোয়াস সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন তাঁর বক্তব্যে পর্যটকদের চাহিদার কথা তুলে ধরে বলেন তাঁরা দেশি-বিদেশি খাবারের পাশাপাশি স্থানীয় খাবার পেতে আগ্রহী। এব্যাপারে শেফ রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে প্রাণ, ফোর স্টার ইন্জিনিয়ারিং, এইচএম পোল্ট্রি, নেসলে, টাইগার ঘোড়া মশলা, এবং এস এম সাজ্জাদ ক্যাটারিং ইনিস্টিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান