অনুসন্ধান ডেস্ক ::: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিশাল শো-ডাউন করে সিলেট-১ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। বুধবার (২২ অক্টোবর) বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির কাছে সিলেট-১ আসনের মনোনয়ন চান।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “সিলেটবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আমি সিলেট-১ আসনে দলের মনোনয়নের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। দলের নমিনেশন বোর্ড বসলে যেনো আমার প্রতি ন্যায্য বিচার হয়—এটাই প্রত্যাশা।”
তিনি আরও বলেন, “৩১ দফার প্রচারণার মধ্য দিয়ে আজ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে জনগণের কাছে দাবি তুলছি এবং দলের কাছে আবেদন করেছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের সম্পৃক্ততা ও ভালোবাসা যাদের সঙ্গে থাকবে, দল তার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেবে। আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কখনো যাইনি, বরং ৪৭ বছর ধরে দলের সঙ্গে আছি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।”
মাজার জিয়ারতের পর আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
সিলেটের প্রতি সরকারের অবিচার তুলে ধরে আরিফ বলেন, “যখনই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, তখনই সিলেটের উন্নয়ন হয়েছে। এখন বৈষম্য চলছে। মঙ্গলবার একনেকে সিলেটের কোনো প্রকল্প না থাকায় আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। সিলেটের মানুষ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের দাবি আদায় করবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসন সিলেট-১ ঘিরে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক উত্তাপ। প্রচলিত আছে— এই আসনে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হন, তারাই শেষ পর্যন্ত সরকার গঠন করেন।
সম্প্রতি সিলেট সফরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই এ অঞ্চলের রাজনীতিতে নতুন প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণায় আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ ঘোষণার পর থেকেই সিলেটসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে নির্বাচনী তৎপরতা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকাণ্ড।