অনুসন্ধান ডেস্ক ::: সিলেটের পাঠানটুলা এলাকায় নবাবী মসজিদের পাশে কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাড়ি মেরামতের দোকানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গাড়ি মেরামতের দোকান পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি দুর্বৃত্তদের কাজ, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন আগুন লাগার ঘটনা দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীও আগুন নেভাতে সহায়তা করেন। রাত পৌনে তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের তথ্য অনুযায়ী, আগুনে ‘ঢাকা অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস’ নামে একটি গাড়ি মেরামত, ডেন্টিং ও পেইন্টিংয়ের দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে। দোকানটিতে থাকা অন্তত কয়েকটি গাড়ি পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ওই দোকানের ভেতরে থাকা গাড়ির ইঞ্জিনের সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়েছে। এর পাশাপাশি আশপাশের আরও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। যান্ত্রিক বা বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে আগুন লাগতে পারে। পুরো বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস খতিয়ে দেখছে। ভেতরে কোনো দাহ্য পদার্থ আছে কি না, সেটাও তারা যাচাই করছে। ফায়ার সার্ভিসের মন্তব্যের পর আগুনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস নামের গাড়ি মেরামত, ডেন্টিং ও পেইন্টিংয়ের দোকানে এক্স নোহা, মাইক্রোবাস, ২টি মোটরসাইকেল এবং পুলিশের একটি পিকআপসহ মোট ১২টি গাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে। পাশাপাশি দুইটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুরো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস সিলেটের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, রোববার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে আমাদের কাছে আগুন লাগার খবর আসে। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়, পরে আগুন বিস্তৃত হওয়ায় আরও তিনটি ইউনিটসহ মোট ৮টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, ওয়ার্কশপে কেউ আহত বা নিহত হয়নি। রাতের কারণে মালিকও উপস্থিত ছিলেন না। এখানে মোট ১০টি গাড়ি ও ৩টি মোটরসাইকেল ছিল। মূলত গাড়ির গ্যারেজ থেকে আগুন শুরু হয় এবং সম্ভবত শর্টসার্কিটের কারণে বিস্তার ঘটে। তবে সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্যসহ তদন্ত চালানো হচ্ছে।