অনুসন্ধান ডেস্ক ::: সিলেট-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেছেন, অতীতে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে নানাভাবে টার্গেট করে হয়রানি করেছে। আমি বিদেশে অবস্থানকালে আওয়ামীলীগের স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন করেছি বলেই আমি ও আমার পরিবারের ওপর একাধিক হামলা-নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি মায়ের ও ভাইয়ের মৃত্যুতেও দেশে ফিরতে পারেননি।
তিনি বলেন, দেশের ছাত্র-জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের যৌথ আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একইসঙ্গে সিলেটের নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীসহ সব গুমের শিকারদের দ্রুত সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
১৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার তেতলীস্থ তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটাধিকারের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার যেকোনো অপচেষ্টা জনগণই ব্যর্থ করে দেবে। নিজের নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, শিক্ষা, যোগাযোগব্যবস্থা, স্বাস্থ্যখাত ও আইটি শিক্ষা বিকাশকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, নাজুক সড়কব্যবস্থা সংস্কার এবং আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে তিনি কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আরও জানান, তিনটি উপজেলার অবহেলিত এলাকাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমান উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। জনগণ তাকে ভোট দিলে এসব উন্নয়ন দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চান।
আগামী ২২ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমার চণ্ডিপুলে ধানের শীষের পক্ষে সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি সভায় জানান।
সভায় তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশকে আত্মমর্যাদাশীল ও স্বনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন এবং দেশবাসী তাকে বরণ করতে প্রস্তুত।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এটিএম ফয়েজ, সিলেট জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রাব্বানী, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা বদরুল ইসলাম জয়দু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক লোকমান আহমদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল লতিফ খান, সাধারণ বজলুর রহমান ফয়েজ, মহানগর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, জেলা বিএনপির সহ ক্ষুদ্র রীণ বিযয়ক সম্পাদক বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সহ তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক শামসুর রহমান শামীম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তোরন, সাংগঠনিক সম্পাদক উজায়ের আহমদ সোহেল, সাবেক ছাত্রদল নেতা মাসুম আলম, তেতলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজমল আলী, তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান অলি।