অনুসন্ধান ডেস্ক ::: সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। দলের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে। নাসিম হোসাইন নাকি- রেজাউল হাসান কয়েস লোদী- কে এখন সভাপতির দায়িত্বে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এমন ধোঁয়াশা ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে- বিএনপির কেন্দ্র থেকে আসা দুটি বিজ্ঞপ্তির কারণে। গত বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমের পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধনী দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও বিষয়টি খোলাসা হয়নি। এ অবস্থায় সভাপতি হিসেবে নাসিম হোসেইন দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, নাকি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান লোদী কয়েস দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন– তা নিয়ে দ্বিধান্বিত নেতাকর্মীরা।
২০২৩ সালের ১০ মার্চ ভোটে মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে নাসিম হোসেইন, সাধারণ সম্পাদক পদে ইমদাদ হোসেন চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সৈয়দ সাফেক মাহবুব নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বিদেশে চলে যান নাসিম হোসেইন। ওই বছরের ১ আগস্ট কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ৪ নভেম্বর নাসিম হোসেইনকে বাদ দিয়ে সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে ১৭০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এ অবস্থায় গত বুধবার রাতে রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসেইনের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁর পদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু নাসিমের কোনো পদ স্থগিত করেনি বিএনপি।
বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে নতুন আরেকটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, ভুলবশত সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেইনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে তাঁর দলীয় পদ স্থগিত ছিল না।
এ অবস্থায় নাসিম হোসেইন সভাপতি দাবি করছেন এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তা মানতে নারাজ।
তবে বিএনপির কিছু নেতা জানিয়েছেন, নাসিম হোসাইন ভুল তথ্য দিয়ে কেন্দ্রিয় নেতাদের বিভ্রান্ত করেছেন। দল কখনোই তার পদ স্থগিত করেনি। আর সর্বশেষ মহানগর বিএনপির পূর্ণা্গ কমিটিতে তাকে রাখাই হয়নি।
এ প্রসঙ্গে নাসিম হোসেইন জানান, কেন্দ্র থেকে ভুলবশত তাঁর পদ-পদবি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তিনি বিষয়টি কেন্দ্রে জানানোর পর সংশোধন করা হয়। সভাপতি হিসেবে তিনি দলে আছেন। দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, আমার পদ কখনও স্থগিত করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি পদটি শূন্য রেখে কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
তবে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। কেন্দ্র থেকেও আমাকে কিছু জানানো হয়নি। আমি আমার সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।