ডেস্ক নিউজ :: পাঠ্যবইয়ের ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত করে তা সংশোধন এবং ভুলের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাত সদস্যের দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভুল সংশোধনে এক মাস এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। প্রথম কমিটিকে ৩০ কর্মদিবস ও দ্বিতীয় কমিটিকে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাত সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহেদুজ্জামান চানকে। এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হালিম এবং বিএফ শাহিন কলেজের শিক্ষক আব্দুল মান্নানসহ অনেকে। পাঠ্যপুস্তকে ভুলত্রুটি ও বিতর্কিত বিষয় খুঁজে বের করে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
আর অন্য কিমিটির আহ্বায়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তারসহ অনেকে। এ কমিটি ভুল-ভ্রান্তির জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত তাদের খুঁজে বের করবে। এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে হবে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে ভুলভ্রান্তি, তথ্য বিকৃতি ও ধর্মীয় উসকানি সংশোধনসহ জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। যার একটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।