অনুসন্ধান নিউজ :: সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশে-বিদেশে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে সক্ষম। সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে সেনাপ্রাধান আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে গর্বের জায়গায় দেখতে চান তিনি’। সকালে সিলেট সেনানিবাসের মুজিব চত্বরে বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য “বজ্রকন্ঠ ” উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে এই ম্যুরাল উদ্বোধন সৌভাগ্যের ব্যাপার। জাতির জনকের এই ভাস্কর্য শুধু প্রদর্শনের জন্যই নয়, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসের প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ জন্মাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেনা সদস্যদের পাশাপাশি বাইরের লোকজনও এই ভাস্কর্য দেখতে ও এর প্রতি সম্মান জানাতে পারবে, এমনটাই জানান সেনাপ্রধান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এছাড়াও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সিলেট সেনানিবাসে মুজিব চত্বরে স্থাপিত ভাস্কর্যটির বেজমেন্ট ৬ ফুট ও মূল ভাস্কর্য ১৯ ফুট দীর্ঘ। সেনাবাহিনীর সিলেট এরিয়া সদরদপ্তরের তত্বাবধানে স্থাপিত হয় ভাস্কর্যটি তিনি সিলেটে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ‘বজ্রকন্ঠ’র উদ্ধোধন
উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান তিথির বক্তব্য উপরুক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট সেনানিবাসের চেকপোষ্ট থেকে প্রায় দুশো মিটার পূর্বে অবস্থিত গোল চত্বরের নাম ‘মুজিব চত্বর”। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরনীয় করে রাখতে এই চত্বরেই তাঁর ভাস্কর্য ‘বজ্রকন্ঠ’ স্থাপন করা হয়েছে।
এর উচ্চতা ১৫ ফুট। বেইজের উচ্চতা ৬ ফুট। দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি সিলেট-তামাবিল সড়ক থেকেও দেখা যায়। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন যেমন হল, তেমনি আগামীতে ভাস্কর্যটি তাঁর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করবে।
আজ রোববার ( ৫ ডিসেম্বর) বজ্রকন্ঠ উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল, সেনাকল্যাণ সংস্থার এবং সেনাসদর থেকে আগত অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ড্যান্ট এসআইএন্ডটিসহ এ এরিয়ায় কর্মরত অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যরা, জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।