অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, কৃষি অনুষদের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাসেম বলেছেন, শিক্ষকদের সম্মান করলে পুরো শিক্ষক সমাজ সম্মানবোধ করে। কারণ শিক্ষকরা হচ্ছে জাতি গঠনের কারিগর। একজন শিক্ষকেই পারে হাজারও শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিতে জ্ঞান ভিত্তিক কার্যক্রম চালাতে হবে। বিভিন্ন জেলায় দেখা যায় ছাত্রদের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত হয়। আবার অনেক জায়গায় শিক্ষকদেরই সম্মাননা দিচ্ছে ছাত্ররা। আজকের এই শিক্ষকদের সংবর্ধনার আয়োজন করে পনাইরচক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা যে সম্মাননা জানাচ্ছেন তা প্রশংসনীয়। আমরা চাইনা ছাত্রদের হাতে কোনো শিক্ষক লাঞ্চিত হোক। কারণ শিক্ষকরাই আলোর দিশারী দেখিয়ে দেন শিক্ষার্থীদের। তিনি আরে বলেন, টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট না নিয়ে পড়ালেখা করে পরীক্ষায় পাশ হয়ে নিলে নিজের যোগ্যতা অর্জন হবে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় সিলেট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এস.এস.সি ১৯৯২, ১৯৯৪, ২০০৭, ২০০৯, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ ব্যাচের সার্বিক সহযোগিতায় ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীবৃন্দের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপিঠ পনাইরচক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষকদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
পনাইরচক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৭২ ব্যাচের ছাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক জি.এম আব্দুর রউফ বাদশা মিয়া’র সভাপতিত্বে ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ১৯৯২ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র, যুব সংগঠক, লায়ন আমিন উদ্দিন আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী।
অনুষ্টানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৫ জন শিক্ষক আব্দুল আজিজ (বি.এ, বি.এড) আবুল মনসুর আহমদ (বি.এসসি, বি.এড), মোঃ এখলাছুর রহমান (বি.এসসি), বাবু নীরেন্দ্র দেবনাথ নীরু ও মোঃ রেহান উদ্দিন-কে সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয় উপহার এবং নগদ ১৮ হাজার করে অর্থ-উপহার প্রদান করা হয়।
তাছাড়া প্রাক্তন আরো ৪ জন মৃত শিক্ষক মরহুম মোঃ মাহতাবউদ্দিন বি.এসসি, মরহুম মৌলভী জিল্লুর রহমান , সাবেক প্রধান শিক্ষক-বাবু প্রবিন চন্দ্র দেব (বি.কম, বিএড) ও বাবু মদন মোহন সিনহা’র পরিবারের সদস্যদের হাতে মরনোত্তর সম্মাননা স্মারক ও নগদ ১৮ হাজার করে অর্থ-উপহার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত উপস্থিত প্রাক্তন শিক্ষকবৃন্দ এবং মৃত শিক্ষকদের পরিবারের সদস্যরা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। মৃত শিক্ষকদের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রবীন চন্দ্র দেবের ছেলে সৌরভ দেব প্রান্ত, প্রাক্তন শিক্ষক মরহুম মাহতাব উদ্দিনের ছেলে সুমন আহমদ ও প্রাক্তন শিক্ষক মদন মোহন সিনহা মেয়ে শ্রাবন্তী সিনহা। ২০১১ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র মুজাহিদুল ইসলামের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ১৯৯২ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান নুনু।
সভায় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এডভোকেট নাজমুল ইসলাম, মাস্টার ছয়ফুল আলম পারুল, হাবিুবর রহমান জিতু ,আব্দুল কাইয়ুম, আজিজুর রহমান দিলু, রাশিদুল ইসলাম হেলাল, মাস্টার সুর্ব্রত দাস, আফরুল ইসলাম, শেলি বেগম, এমাদ উদ্দিন, শাইনুল ইসলাম, খসরুল আলম, মাহফুজুর রহমান মারজান, আশরাফুল আহমদ, হাসান আহমদ, রবিউল করিম মুন্না, খালেদ আহমদ, সুমায়েল করিম, আদনান সুলতান মাহের, মিছবা উদ্দিন শামীম ও মামুন আহমদ। বর্নাঢ্য ও ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় শতাধিক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।