সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় এক যুবক তারই ভগ্নিপতির বোনের ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটির নাম মাহবুব আলম রিহান (৬)। সে ওই গ্রামের হানিফ উদ্দিনের ছেলে।
অভিযুক্ত তৌহিদ মিয়া পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের ছাপতা মিয়ার ছেলে। স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে লক্ষ্মীপুর গ্রামে বোন জামাই হাবিব মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান তৌহিদ মিয়া। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাবিবের ভাগ্নে রিহানকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমামুল বলেন, তাদের ধারণা তৌহিদ মানসিক ভারসাম্যহীন। কারণ বৃহস্পতিবার তাহিরপুর থেকে লক্ষ্মীপুরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাজার থেকে একটি দা কিনে নিয়ে যান। সেই দা দিয়েই শিশুটিকে খুন করেন।
ইউপি সদস্য আরও জানান, শিশুটিকে খুন করার পর তাকে আটক করা হলে তৌহিদ জানান প্রায়ই স্বপ্নে দেখেন তাকে কে বা কারা দা নিয়ে তাড়া করছে। তাই আক্রমণ প্রতিহত করতে বালিশের নিচে দা রেখে ঘুমাতেন। আজ সকালেও সেই স্বপ্ন দেখেন। তখনই চোখ মেলে শিশুটিকে তার দিকে আসতে দেখে দা নিয়ে হামলা চালান।জামালগঞ্জ থানার ওসি মীর মোহাম্মদ আবু নাসের বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তৌহিদ ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নিজ গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকেও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সেই ঘটনায় অনেক দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
ভাটি তাহিরপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তৌহিদ মানসিক ভারসাম্যহীন নয়। সে ইচ্ছে করেই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। কারণ আমার ছেলেকে হত্যাচেষ্টার পর নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করেছিল।’