নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছাত্রলীগ কর্মীদের ছুরিকাঘাতে যুবলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত মামলা দায়েরের খবরও পাওয়া যায়নি। তবে খুনীদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে, খুন হওয়া তাজেল আহমদের লাশ ময়না তদ্ন্ত শেষে শুক্রবার (দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে বিকালে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়। তাজেল আহমদ গোলাপগঞ্জের পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের ময়েন আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের আমনিয়া বড় মসজিদের সামনে তাজেল আহমদকে ছুরিকাঘাত করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত তাজেল আহমদ পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। যুবলীগের মিছিলেও তাকে মাঝে-মধ্যে যেতে দেখা যেত। তাজেলের সাথে তানভির আহমদ নামের আরেক যুবকও আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত তানভির আহমদ একই গ্রামের সফিক উদ্দিনের ছেলে।
তানভির জানান, তাজেলের সাথে ছাত্রলীগ কর্মী একই উপজেলার কদমরসুল গ্রামের অপু আহমদের বিরোধ ছিল। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে গালাগালি করা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাজেল ও তানভির একসঙ্গে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন অপু ও সাঈদসহ আরও ৫-৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী তাদের পিছু নেয়।
আমনিয়া বড় মসজিদের সামনে আসার পর অপু পেছন থেকে তাজেলকে ডাকতে থাকে। একপর্যায়ে তাজেল ডাকার কারণ জানতে অপুর কাছে যায়। এসময় অপু তাজেলের গলায় ছুরিকাঘাত করে। তাজেলকে রক্ষায় তানভির এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার দাড়িপাতন গ্রামের সাঈদ আহমদ।
পরে স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তাজেল মারা যান।
আর আহত তানভির বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন- এ ঘটনায় এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি। আজ বিকালে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গোলাপগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সুদীপ দাস বলেন- এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।সূত্র:সিলেটভিউ