নিউজ ডেস্ক :: নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করার মতো সময় এখন আর নেই বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে এ আইন ‘নিশ্চয়ই হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই আইন হবেই না, সেটা কখনও বলিনি আমরা। এমন একটা আইন হতে হবে যেটা সর্বজনীন হয়।
আজ রবিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হলো জনগণের সেবা করা। এটাই এত বছরে করে আসছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হলে যারা জনগণের সেবা করেছে, তাদেরই আবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে মানুষ। যারা নিজেদের সেবা নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তাদের নির্বাচিত করবে না।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান বলেছেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ খুব একটা কাজে দেবে না। নির্বাচনে কমিশনে কারা থাকবেন সেই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে। তারাই নিয়োগ পাবেন’- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে দুটো কথা বলব। একটা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা আছে। বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন। আমরা মনে হয় তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি এটা করতেই পারেন।
মন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের বলবো এই সংলাপ ব্যর্থ হচ্ছে নাকি সফল হচ্ছে, তা সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নেন সেটা দেখার পর আপনারা বুঝবেন। সেই পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি সংলাপে যাচ্ছে না- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি বিএনপির উদ্দেশ্যে এই কথাই বলতে চাই, দেখেন দেশ হচ্ছে সবার ঊর্ধ্বে। দেশের স্বার্থে আপনারা যদি এই সংলাপে আসেন, সেটা আপনাদের জন্য ভালো হবে, সবার জন্য ভালো হবে। সেটা যদি না করেন, তবে তা ওনাদের (বিএনপির) সিদ্ধান্ত।
অনেকে বলেন টক্সিক সিচুয়েশন। ওনারা (বিএনপি) যদি মনে করেন, এটা টক্সিক সিচুয়েশন, তাহলে আমার মনে হয় টক্সিক সিচুয়েশন থেকে বেরোনোর জন্য ওনাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সংলাপে গেলে আমরা মনে হয় সেটা পজিটিভ হবে, যোগ করেন আনিসুল হক।