অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন বলেছেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ আমার কাছে আসতে পারবেন। গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের মানুষের সুখ দুঃখে পাশে ছিলাম, আজীবন পাশে থাকতে চাই। আমি আপনাদের পরীক্ষিত বন্ধু। মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। আমি শুধু দুই উপজেলার মানুষের জন্যই নয়, প্রবাসীদের জন্যও কাজ করতে চাই।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বরের মোকামবাজারে বিশাল নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান।
তিনি আরও বলেন, আমি কোন গ্রæপিং করার জন্য আসিনি। এলাকার উন্নয়নই হবে মূল কাজ। আমির নির্বাচিত হলে দুর্নীতিমুক্ত- স্মার্ট গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার উপহার দিব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব বলেন, এ নির্বাচন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগের নির্বাচন, পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার নির্বাচন। তিনি ৭ জানুয়ারি ঈগল প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করেন।
গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান জাকারিয়া আহমদ পাপলু বলেন, সময় এসেছে সিন্ডিকেট ভাঙ্গার। এ এলাকার মানুষ এবার সঠিক রায় প্রয়োগ করবে। জনসভায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত হন। এর আগে সরওয়ার হোসেন ভাদেশ্বরের বিভিন্ন গ্রামে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেন তিনি।
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন বলেছেন, সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের সংসদ সদস্য জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। কিন্তু একটি পক্ষ ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়ে যাবে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আপনারা এসব গুজবে কান দিবেন না। আগামী ৭জানুয়ারি ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছর কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থাকা সিলেট-৬ আসনের আর কেউ উন্নয়ন বঞ্চিত থাকবেন না।
সোমবার সকাল থেকেই তিনি ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মেহেরেপুর, কোনাগ্রাম, খুলিয়া পাত্তন, কাটাখালিপার, গোয়াসপর শেখপুর, হাওরতলা ও মীরগঞ্জ বাজারে গণসংযোগ ও মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসব গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এবং যুবসমাজের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।