নিউজ ডেস্ক :: ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও সিলেটে সুবিধা করতে পারেননি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। জেলার ১৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতেই হেরেছেন নৌকার প্রার্থীরা।
এই ১০টির মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ২টিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া স্বতন্ত্রের ব্যানারে ৩টিতে জামায়াত, ২টিতে বিএনপি এবং একটিতে জাতীয় পার্টির এক নেতা বিজয়ী হয়েছেন।
৫ম ধাপে বুধবার সিলেটের জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিকেলে জকিগঞ্জের কাজলসার ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতীকে সিল দেওয়া ব্যালটসহ আটক করা হয় দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার কম দেয়া ও নিজেরা সিল দিয়ে ব্যালেট পেপার ভোট বাক্সে ঢুকিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
এই অভিযোগে জকিগঞ্জের কাজলসার ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্র ও পাশ্ববর্তী একটি কে্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
ফলাফল ঘোষণা হওয়া বাকি ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
জকিগঞ্জের ফলালফর ঘোষণা হওয়া ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, একটিতে জামায়াত ও একটিতে জাতীয় পার্টির নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।
এ উপজেলায় বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- বারহালে জামায়াতের মোস্তাক আহমদ, বীরশ্রীতে আওয়ামী লীগের আবদুস সাত্তার, খলছড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টি নেতা আবদুল হক, কসকনকপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আলতাফ হোসেন লস্কর, মানিকপুরে আওয়ামী লীগের আবু জাফর মো. রায়হান, বারঠাকুরীতে আওয়ামী লীগের মহসিন মুর্তজা চৌধুরী টিপু ও জকিগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের মাওলানা আফতাব আহমদ।
এছাড়া সুলতানপুর ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টির ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে রয়েছেন স্বতন্ত্রের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতা হাসান আহমদ।
অপরদিকে, কানাইঘাটের ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, ২টিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ২টিতে জামায়াত, ২টিতে বিএনপি নেতা বিজয়ী হয়েছেন।
এ উপজেলায় বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তমিজ উদ্দিন, লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে জমিয়তের মাওলানা জামাল উদ্দিন, দিঘীরপাড়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল মোমিন চৌধুরী, সাতবাঁকে জামায়াতের আবু তায়্যিব শামীম, বড়চতুলে বিএনপির আবদুল মালিক চৌধুরী, কানাইঘাট সদরে আওয়ামী লীগের আফসার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, দক্ষিণ বাণীগ্রামে জামায়াতের মাস্টার লোকমান আহমদ, ঝিঙ্গাবাড়িতে বিএনপির মাস্টার আবু বকর ও রাজাগঞ্জে জমিয়তের মাওলানা শামসুল ইসলাম।