অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের কাজিরখলা এলাকাবাসীর উদ্যোগে শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) বাদ মাগরিব স্বপ্ন যুব সংঘের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এক মতবিনিয়ম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কাজিরখলা এলাকার সিলেট পলিটেকনিক্যালের দেওয়াল ও ৭০ বছরের প্রাচীন ঝুঁকিপূর্ণ গ্লাস ফ্যাক্টরীর দেওয়ালের কারণে ছোট রাস্তা প্রশস্ত করণ এবং গ্লাস ফ্যাক্টিরীর ভিতরে সিসিকের অর্থায়নে নির্মিত সংযোগ রাস্তার দেওয়াল ভেঙ্গে খুলে দেওয়ার দাবীতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বপ্ন যুব সংঘের উপদেষ্টা ও এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী মো. নূর উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা মিয়া রুনু ও সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আহমদের যৌথ পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন এলাকার মুরব্বী রফিক মিয়া, ফজলু মিয়া, বাহার উদ্দিন, মঈন মিয়া, মজলু মিয়া মামুন মিয়া, নানু মিয়া, কামাল মিয়া, ফিরোজ মিয়া, লায়েক মিয়া, কটন মিয়া, মাখন মিয়া, মখন মিয়া, বাচ্চু মিয়া, আখতার হোসন, মিছবাহুর রহমান, আলমীগর হোসেন, শিব্বির হোসেন, দিলদার হোসেন, মকবুল হোসেন, স্বপ্ন যুব সংঘের সভাপতি নুরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সহ-সভাপতি রুহেল আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নজমুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আহমদ, ফজর আলী, অর্থ সম্পাদক জুনেদ আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ইমন আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুন্না আহমদ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুমন আহমদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক খালেদ আহমদ, সহ-ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহাদ আহমদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ আহমদ, নির্বাহী সদস্য আলা উদ্দিন, তারেক আহমদ, জুনেদ আহমদ, সদস্য শামীম আহমদ, জাকারিয়া আহমদ, শাকিল আহমদ, নাজিম উদ্দিন, সাজন আহমদ, আল-আমিন, নূর আমিন, সাহিদ আহমদ, রুমন আহমদ, সানি আহমদ, রকিবুল ইসলাম, ফাহিম আহমদ, মাছুম আহমদ, ফখর উদ্দিন, রুবেল আহমদ, লিটন আহমদ, বাবলু আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশন আইন ১৯৫২ ও ২০০৬ সালের বিধি অনুসারে সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে যেকোন রাস্তার পাঁকা করণ করলে সেই রাস্তার মালিকানা সরকারের হয়ে যায়। এবং পাশাপাশি সিটি রাস্তা থাকলে আর তার সাথে সংযোগ বন্ধ রাখা হলে তা দন্ডনীয় অপরাধের মধ্যে পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্লাস ফ্যাক্টরীর ভিতরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত যে দুটি রাস্তা রয়েছে একটি মহল তাদের নিজস্ব রাস্তা বলে দাবী করছেন যা অত্যন্ত হাস্যকর। আমরা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাছে রাস্তা প্রশস্ত করার দাবী জানিয়েছি সঙ্গে এখানে সিসিকের ম্যাপে অর্ন্তভূক্ত সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত ৩টি রাস্তা রয়েছে যার ২টির সংযোগ ঝুঁকিপূর্ণ দেওয়ালের কারণে বন্ধ আছে তা অবহিত করেছি মাত্র। সিলেট সিটি কর্পোরেশন আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাদের আশ^স্ত করেছেন।
বক্তারা বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে ২০০৪ সালে ‘শাহ কনাইশাহ মাজার’ রোড হাজার মানুষ চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হয় সেই রাস্তা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ প্রায় তিন থেকে চার হাজার মানুষ চরম ঝুকিপূর্ণ ভাবে দীর্ঘদিন যাবত চলাচল করছেন। রাস্তার এক পাশে সিলেট পলিটেকনিক্যালের দেওয়াল অন্য পাশে প্রাচীন গ্লাস ফ্যাক্টরির ঝুকিপূর্ণ দেওয়াল রয়েছে। সেই ৭০ বছরের প্রাচীন গ্লাস ফ্যাক্টরির দেওয়াল চরম ঝুকিপূর্ণ ভাবে রাস্তার উপর হেলে আছে এবং গ্লাস ফ্যাক্টরির ভিতরে সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত ২টি রাস্তা রয়েছে। আমরা চরম হতাশাগ্রস্থ অবস্থায় প্রত্যেকটি মুহুর্তে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছি। এলাকায় কোন ধরনের দূর্ঘটনা গঠলে ফায়ার সার্ভিস, এম্বুলেন্স, জরুরি কাজে ব্যবহারিত বিদুৎতের গাড়ি, সিটি কর্পোরেশনের জরুরী কাজে ব্যবহারিত গাড়ি, বাড়ির কাজের নির্মাণাধিন আসবাবপত্র, মানুষ মৃত্যুবরণ করলে প্রয়োজনী গাড়ি ও আসবাবপত্র প্রবেশ করতে পারে না।
এই বিষয়ে আমরা সিসিক মেয়রকে প্রায় তিন-চার হাজার মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে অনুরোধ জানালে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, প্যানেল মেয়র এডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজ ঝুকিপূর্ণ দেওয়াল ও বন্ধ কৃত সিসিকের সংযোগ রাস্তার স্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করে সবাই হাজার মানুষের কথা চিন্তা করে জনস্বার্থে অচিরে দেওয়াল ভেঙ্গে সংযোগ রাস্তা প্রদান ও রাস্তা প্রশস্ত করনের আশ^াস প্রদান করেন।-বিজ্ঞপ্তি