অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, রমজান মাসের সরকারের নিয়ন্ত্রণে বাজার সিন্ডিকেট নিত্যপণ্যের মূল্য কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছে। রোজাদাররা পেটভরে সেহরী ও ইফতার করতে পারছে না। ইতারের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ খেজুর মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে এখন স্বপ্নের মতো। সরকারের মন্ত্রীরা খেজুরকে বিলাসীপণ্য বলে ঠাট্টা মশকারা করছেন। সরকার সবক্ষেত্রে নির্লজ্জ দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, সর্বক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি করেছে। এমন অবস্থায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র চলতে পারে না। এমন পরিস্থিতি থেকে প্রিয় মাতৃভূমিকে বাঁচাতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসী এই সংকট থেকে মুক্ত হতে পারবেন না।
বুধবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজুলের সৌজন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম তোরনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশ চরম ক্রান্তিরকাল অতিক্রম করছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ডলার সংকটে পণ্য আমদানী করা সম্ভব হচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। যতদিন এই ফ্যাসিস্ট ডামি সরকার ক্ষমতা দখল করে থাকবে ততদিন দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না। তাই অবিলম্বে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় সরকারের অধিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল, নিজাম উদ্দিন তরফদার, লোকমান আহমদ, মাহবুব আলম, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আকবর হোসেন, নুরুল আমিন দুলু, আব্দুল মালিক মল্লিক, শেখ মনসুর রহমান, আব্দুল মন্নান, পাবেল রহমান, রাসেল আহমদ, আরিফ চৌধুরী, আবুল কাশেম, আশিক মিয়া, রাজু আহমেদ, জুয়েল আহমেদ, আবু সালেহ, রাসেল আহমদ, আদনান আহমদ, আব্দুস সামাদ, সেবুল আহমেদ, ফয়সাল আহমদ, আলাউদ্দীন, আখতার হোসেন, রাজু আহমেদ, মোঃ আব্বাস, রাসেল আহমেদ প্রমুখ।