নিউজ ডেস্ক :: দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। প্রতিদিনই সহস্রাধিক মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। আগামী ১৫ জানুয়ারির পর টিকা না নেওয়া ১২ বছরের ঊর্ধ্ববয়সী কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে না, এমন নির্দেশনা এসেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে। আর এতেই দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরেছে সিলেটের প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে কিভাবে টিকা পাওয়া যাবে, এ নিয়েই তাদের দুশ্চিন্তা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সিলেটের তথ্যানুসারে, সিলেট বিভাগের চার জেলায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আছে ৬ লাখের সামান্য বেশি। তন্মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে টিকার প্রথম ডোজের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিরা এখনও টিকা পায়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্র জানায়, সিলেট বিভাগে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৫৮২ জন শিক্ষার্তী। যাদের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৫৭ হাজার।
বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলায় ৬১ হাজার ৪৯২ জন, সুনামগঞ্জে ৯৩ হাজার ৪৭৪ জন, মৌলভীবাজারে ৮১ হাজার ৫৪৫ জন ও হবিগঞ্জে ৮৯ হাজার ৭১ জন শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে।
সিলেট বিভাগে টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৯ হাজার ৮২২ জন, সুনামগঞ্জের ৫৫৮ জন, মৌলভীবাজারের ৬৯০ জন ও হবিগঞ্জের ৪ হাজার ৬৭৭ জন রয়েছে।
টিকাদান কর্মসূচির সাথে জড়িতদের সামনে এখন বাকি প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে দ্রুত টিকার আওতায় আনার চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাউশি সিলেটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান খান বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) অধীনে নগরীতে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার সরকারি মহিলা কলেজে ৬৪৫ জন, মদন মোহন কলেজে ৩৮০ জন, এমসি কলেজে ৫৩৭ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
মহানগরী ও জেলা শহরে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমে গতি থাকলেও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখনও টিকার বাইরে। তবে গ্রামের স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করছে এবং সব স্কুলে টিকা কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মাউশি পরিচালক।
এদিকে, ১২ বছরের ঊর্ধ্ববয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে পদ্ধতি সহজ করে দেওয়া হয়েছে। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আর নিবন্ধন লাগবে না। এখন থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের পরিচয়ের প্রমাণ দিলেই টিকা পাবে।