নিউজ ডেস্ক :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সাইদা গাফফার খালেককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে আনারুল ইসলাম নামে এক রাজমিস্ত্রিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টাকার লোভে অধ্যাপক সাইদাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে আনারুল।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সাভারের বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং প্রকল্প এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে কাশিমপুর থানা পুলিশ। বিষয়টি সময়ের আলোকে নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুব হুদা। তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় হাউজিং প্রকল্প এলাকায় ঝোপঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আনারুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রংপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকায় আসার পথে সে স্বীকার করেছে হত্যার বিষয় এবং তার লাশ কোথায় রেখেছে সেটা বলেছে। তার কথা অনুযায়ী শুক্রবার সকালে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী সময়ের আলোকে বলেন, শিক্ষক আবাসন প্রকল্পে একজন সাবেক অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ ঘটনায় খুনিকে আটক করেছে পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরগ্রহণ করেন সাইদা গাফফার। পানিশাইল এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের ভেতরে বাড়ি নির্মাণ করার সুবাদে তিনি ১১ মাস আগে স্থানীয় জনৈক মোশারফ মৃধার বাড়িতে ভাড়ায় একাই বসবাস শুরু করেন। গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ছেলেমেয়েরা কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরে তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন ১৩ জানুয়ারি কাশিমপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। সাধারণ ডায়েরি করার পর নির্মাণাধীন বাড়ির প্লটে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। ওই প্লটে কর্মরত রাজমিস্ত্রি আনারুলকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে, প্লট থেকে একটু দূরে জঙ্গল থেকে সাইদা গাফফারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রাজমিস্ত্রি আনারুল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, সাহিদা গফফারের হাতে টাকা দেখে সে ছিনিয়ে নিতে চায়। এ সময় সাহিদা চিৎকার দিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় আনারুল।