শিরোনাম :
ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে পরাজিত শত্রুরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে-বালাগঞ্জে খান জামাল ১৩ দিনে সিলেটে যে ভাইরাসে আক্রান্ত অর্ধশত মানুষ সিলেট মহানগর ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ ধানের শীষের বিজয় মানেই গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণ : খন্দকার মুক্তাদির সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ১৫ তম ব্যাচের হোয়াইট কোট অনুষ্ঠান সম্পন্ন সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ২০ শ্রমিক পরিবারকে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আর্থিক অনুদান ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে জমিয়তের বিকল্প নেই-মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস উল্টে আহত ৩০ আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শীঘ্রই সচল হচ্ছে সিলেটের পাথর কোয়ারি-নিয়ে এলো সুসংবাদ

রিপোর্টার নামঃ
  • মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধান ডেস্ক :: দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন এর সাথে সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে স্থানীয় অর্থনীতির মজবুত ভিত্তি হচ্ছে পাথর কোয়ারি। সেই কোয়ারিগুলো থেকে পরিবেশ সম্মতভাবে পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়া জরুরী। অবশেষে দীর্ঘ সাত বছর পর খুলতে যাচ্ছে কোয়ারিগুলো। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরিনা আফরিন মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বের আদেশটি বাতিল করা হয়।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত পত্রসমূহের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, সারা দেশে গেজেটভুক্ত কোয়ারিসমূহের ইজারা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে এ বিভাগের ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখের ২৮.০০.০০০০.০২৮.৩১. ০০৪.১৮.১২ (অংশ-১)-১৯ নম্বর স্মারকে, “সারা দেশের গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি, সিলিকাবালু কোয়ারি, নূরীপাথর, সাদা মাটি উত্তোলনসহ অন্যান্য সকল কোয়ারির ইজারা আপাতত: বন্ধ থাকবে” মর্মে গৃহীত সিদ্ধান্তটি, এতদ্বারা নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো। এতে করে সিলেটসহ সারাদেশ বন্ধ থাকা সকল পাথর ও বালু মহাল থেকে পাথর, বালু, সাদামাটি উত্তোলনে আর বাধা রইল না।

 

জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে পাথর উত্তোলন। দীর্ঘদিন অচলাবস্থা থাকায় কোয়ারি নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। ব্যবসায়ীরা হয়ে গেছেন দেউলিয়া। শ্রমিকরা হয়ে পড়েছেন কর্মহীন।

 

ব্যবসায়ীরা বারবারেই দাবি জানাচ্ছিলেন, কয়েক বছর কোয়ারি বন্ধ থাকা ও পাথর উত্তোলন না করায় নদীর প্রবেশমুখে স্তুপাকারে আটকে আছে পাথর। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাথর লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এতে সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া কোয়ারি বন্ধ থাকায় বেকার হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক। মানবেতর জীবনযাপন করছেন কোয়ারির সাথে জড়িত পাথর ও পরিবহন ব্যবসায়ী, বেলচা, বারকি, পরিবহন ও লোড-আনলোড শ্রমিকরা। এই ইস্যুতে স্থানীয়ভাবে আন্দোলন, প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তারা। অবশেষে দীঘ ৭ বছর পরে খুলছে কোয়ারিগুলো। শীঘ্রই বন্ধ থাকা গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারী সমূহের ইজারা কার্যক্রম শুরু হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain