অনুসন্ধান ডেস্ক :: প্রতিবারের ন্যায় এবারও সিলেট নগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার “দারিদ্র বিমোচনে যাকাত-ফিৎরার ভূমিকা ও স্থানীয় ভাবে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ” শীর্ষক সেমিনারে স্থানীয়ভাবে ফিৎরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল ১১ মার্চ মোতাবেক ১০ রমজান মঙ্গলবার বাদ যোহর সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সর্বোচ্চ ফিতরা ৫৬১০ এবং সর্বনিম্ন ১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দরগাহে হযরত শাহজালাল রহ. মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি আতাউল হক জালালাবাদী।
মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবীব আহমদ শিহাবের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, শাইখুল হাদীস আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা ইকবাল হুসাইন, গাজী রহমত উল্লাহ, মাওলানা শাহ মমশাদ, মুফতি আবু সালেহ মোঃ কুতবুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ এহসান উদ্দিন, মাওলানা শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলয়াস, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা এমরান আলম, হাফিজ মিফতাহ উদ্দীন আহমেদ, মুফতি জিয়াউর রহমান, মাওলানা মনজুরে মাওলা, হাফিজ মাহবুবুর রহমান, মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ খাসদবিরী।
মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান শাহজাহান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তরা বলেন, যাকাত ইসলামের মৌলিক বিধান। এ বিধানকে লংঘন করা মারাত্মক অপরাধ। দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। বিশ্বে অনেক দেশে যাকাতভিত্তিক ইসলামী অর্থনীতি পরিচালিত হয়ে অর্থনৈতিক ভাবে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মত ক্ষুদ্র দেশে প্রতি বছর সঠিক ভাবে যাকাত উত্তোলন করলে বছরে ১১৫০০০ হাজার কোটি টাকা যাকাত উত্তোলন হবে। যা দেশের মূল বাজেটের বৃহৎ একটি অংশ। যাকাতের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অল্প দিনেই দেশকে দারিদ্র থেকে মুক্ত করা সম্ভব। বক্তাগণ আরো বলেন, নামাজ এবং যাকাত ইসলামী সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম। বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক নামাজের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপরেখা না থাকলেও সামাজিক বা মহল্লা কেন্দ্রিক মসজিদ পরিচালনা সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। তেমনি ভাবে নামাজের মত যাকাতকেও মহাল্লা/ এলাকা/ ইউনিয়ন কেন্দ্রিক যাকাত ফান্ডে যাকাত উত্তোলন করে তা সঠিক ভাবে বিতরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারলে সমাজ থেকে বেকারত্ব দূর হবে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখা এবারের সেমিনারে সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুফতীয়ানে কেরাম, উলামা মাশায়েখ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের ও ইমাম-খতিবগণের সাথে আলোচনা ক্রমে ও সিলেট নগরীর বিভিন্ন খুচরাবাজার যাচাই করে ৬০ টাকা হিসাবে আটা ১৬৫০ গ্রামের মূল্য ১০০ টাকা ও খেজুর (নিম্ন) ২৫০ টাকা দরে ৩৩০০ (এক সা’) গ্রামের মূল্য ৮২৫ টাকা, কিসমিস ৭০০ টাকা হিসাবে ২৩১০ টাকা ও পনির ১০০০ টাকা বাজার দরে ৩৩০০ টাকা এবং মেডজুল এ গ্রেড খেজুর ১৮০০ টাকা হিসাবে ৫৯৫০ টাকা নির্ধারণ করে ফিৎরার ঘোষণা করা হয়।
সেমিনারে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা কারী শহিদ আহমদ, শায়খুল হাদীস শাহ আশরাফ আলী মিয়াজানী, মাওলানা নূর আহমদ কাসেমী, মাওলানা আহমদ হোসাইন, মাওলানা শাহ আলম,মাওলানা এখলাছুর রহমান, মাওলানা ছুহাইব আহমদ, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মুফতি ইলিয়াস আহমদ, মাওলানা মাছুম আহমদ, মাওলানা আবিদ হাসান, মাওলানা শামসীর হারুনুর রশিদ, মাওঃ জাহাঙ্গির আলম, মাওঃ আব্দুর রহমান, মাওঃ রহমত উল্লাহ, মুফতি আব্দুর রহিম মাহির, মাওঃ রেজাউল হক, মাওঃ আকবর হোসাইন চৌধুরী, মাওঃ আব্দুল আহাদ, মাওঃ ফেরদাউস সরকার প্রমুখ সহ নগরীর ৪২ ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলগণ।
আগামী শুক্রবার জুম্মার বয়ানে যাকাত-ফিৎরা বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সিলেটের সকল ইমাম খতিবদের প্রতি আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি