আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের চতুর্থ দিনে খারকিভ এবং রাজধানী কিয়েভে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে রুশ সেনাদের। এই দুই জায়গায় জোর লড়াই চলছে দুপক্ষের মধ্যে। একের পর এক রকেট হামলা চালিয়ে খারকিভে গ্যাসের পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে রুশ সেনারা। অন্যদিকে, কিয়েভে তেল ভান্ডারেও বিস্ফোরণ ঘটানোর খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কিয়েভের ৪০ কিলোমিটারের মতো দক্ষিণে ভাসিলকিভে একটি তেলের ডিপোতে আগুন দেখা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ রাজধানীবাসীকে বিষাক্ত ধোঁয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ডিপোটিতে আগুন ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিয়েভের কর্মকর্তারা অধিবাসীদের সতর্ক করে দিয়ে জানান, একটি জ্বলন্ত তেল ডিপো থেকে ধোঁয়া এবং বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। বাসিন্দাদের তাদের বাসা-বাড়ির জানালা শক্তভাবে বন্ধ করে রাখতে বলা হয়েছে।
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তেল ডিপো থেকে বিশাল আকারের ধোঁয়া উঠছে।
রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ইউক্রেনের রাজধানীর অনেক বাসিন্দাই বেজমেন্ট বা মাটির নিচের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে আল জাজিরার এক খবরে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা খারকিভে গ্যাসের পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় স্পেশাল কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রোটেকশন সার্ভিস জানায়, সেনারা দেশটির খারকিভ শহরে একটি প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মাশরুম আকৃতির বিস্ফোরণ দেখানো হয়েছে। পাইপলাইনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং বিস্ফোরণটি শহর বা দেশের বাইরে গ্যাসের চালান ব্যাহত করতে পারে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার করা যায়নি। তবে যুদ্ধ সত্ত্বেও ইউক্রেন রাশিয়ান প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরোপে পাঠানো অব্যাহত রেখেছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে কিয়েভে খুব বেশি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি। তবে পশ্চিম কিয়েভে দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত এত কমবয়সী আর কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিয়েভে সংঘর্ষে আরও অনেকে আহত হয়েছে বলেও ওকমাৎডিত হাসপাতালের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিএনএন।