অনুসন্ধান ডেস্ক ::: স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (মাদক অধিশাখা)’র যুগ্ম সচিব এ. এফ. এম এহতেশামূল হক বলেছেন, এলোমেলো মাদকদ্রব্য সমাজকে বিনষ্ট করে ফেলছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক সামাজিক সচেতনা বাড়াতে হবে।
স্কুল,কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, পরিবারে সচেতনা বাড়াতে হবে। স্কুল কলেজের ২শত গজের মধ্যে কোন ধরনের মাদকদ্রব্য রাখা বিক্রি করা নিষেধ। সেই বিষয়ে স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষকদের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি পরিবার সাইকোলজিস্ট হতে হবে। সন্তানদের কথা শুনার মত পরিবেশে তৈরী করতে হবে। মাদকের ছোবল থেকে বের হয়ে আসতে হবে। চিকিৎসার মাধ্যমে যারা সুস্থ্য হয়, তাদেরকে মূলস্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদেরকে সমাজ থেকে বিছিন্ন করারযাবে না। মাদকদ্রব্য গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণে সরকার নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে শ্রীঘ্রই তা বাস্তাবায়ন করা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কার্যালয়, সিলেট কর্তৃক অভ্যন্তরীণ সেবা প্রত্যাশীদের অংশগ্রহণে গণ-শুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
গতকাল রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো: মজিবুর রহমান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের (প্রশাসন, অর্থ ও পরিকল্পনা) পরিচালক মো: আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক মলয় ভুষন চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেটের রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণা সাহা, সাইকোলজিস্ট তিথি ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রণ করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সিলেট বিভাগের মাদক নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধি,
বিভিন্ন হাসাপাতলের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিব, নিরায়ময় কেন্দ্রের চিকিৎসকবৃন্দ, মাদকাসক্ত রোগীর অভিভাবকবৃন্দ। এছাড়াও মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন – নিউ প্রশান্তি, আহবান, সূর্য, বাধন, হেভেন, এইম ইন লাইফ, প্রতিশ্রুতি, আদর, প্রত্যাশা, স্পন্দন, প্রেরণা এবং বিভিন্ন স্টেইক হোল্ডারা উপস্থিত ছিলেন। -বিজ্ঞপ্তি