অনুসন্ধান ডেস্ক ::: জালালাবাদ গ্যাস টি এ্যান্ড ডি সিস্টেম লি: সিলেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকার কর প্রশাসনকে যুগোপযোগী ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ই-রিটার্ন দাখিল ব্যবস্থা করদাতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই উদ্যোগ কর দাখিল প্রক্রিয়াকে যেমন সহজ ও সময়সাশ্রয়ী করেছে, তেমনি কর ব্যবস্থাপনায় এনেছে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি এখন উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। কর ব্যবস্থাপনাতেও প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব। করদাতারা যাতে ঘরে বসেই সহজে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন, সেজন্য কর কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে এবং জনগণকে সচেতন করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও প্রচারণা চালাতে হবে। ই-রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া শুধু সময় বাঁচায় না, বরং ভুল-ত্রুটির সম্ভাবনাও কমিয়ে আনে। এটি কর প্রশাসন ও করদাতা উভয়ের জন্যই লাভজনক একটি উদ্যোগ। আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা কর কর্মকর্তাদের জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করবে, যা ভবিষ্যতে কর ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন,এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ই-রিটার্নের প্রক্রিয়া, নিয়মনীতি, তথ্য ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করবেন। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুললেই কর প্রশাসন আরও আধুনিক, গতিশীল ও স্বচ্ছ হয়ে উঠবে। করদাতাদের সহায়তায় আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখলে কর সংগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জেজিটিডিএসএল সিলেটের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে সিলেট জেজিটিডিএসএল এর এইচ আর ডিপার্টমেন্ট প্রশাসক ডিভিশন আয়োজিত ই-রিটার্ন দাখিল বিষয়ক ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন এনবিআর ঢাকার ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের প্রোগ্রামার মো. মোস্তফা নুরুল ইসলাম, ঢাকা ট্যাক্স জোন-২ এর সহকারী প্রোগ্রামার এ কে এম আহসান হাবিব। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি