নিউজ ডেস্ক :: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি ঘর থেকে শাশুড়ি ও পুত্রবধূসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শাফি (৩) নামের এক শিশু আহত হয়েছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দিগর ইউনিয়নের কাশতলা দক্ষিণপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) গভীর রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা ওই তিনজনকে খুন করে গেইটে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে নিহত পুত্রবধূর পরকীয়ার জেরে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে সন্দেহ করছে গ্রামবাসী।
নিহতরা হলেন- কাশতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়েন উদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৪), কালিহাতী সাতুটিয়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে প্রেমিক শাহজালাল (২৫) শাশুড়ি জমেলা বেগম (৬৫)। আহত শিশু সন্তান শাফিকে মুমূর্ষু অবস্থায় টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা দিগড় ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মৃত হজরত আলীর ছেলে জয়েন উদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার সুতারপাড়ার জিন্নত আলীর পালক মেয়ে সুমি আক্তারে ৮ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমির স্বামী বিদেশে থাকার সুবাদে হাসপাতালে রোগী দেখেতে গিয়ে কালিহাতী পৌর এলাকার সাতুটিয়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে শাহজালালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমির। যা দৈহিক সম্পর্কেও গড়ায়।
এক পর্যায়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে সুমি প্রেমিক শাহজালালের বাড়িতে গিয়ে ঘর সংসার শুরু করে। সংবাদ পেয়ে স্বামী জয়েন উদ্দিন বিদেশে থেকে এসে ৩/৪ মাস আগে সালিশি বৈঠক করে পুনরায় তাকে ঘরে তুলে নেয় এবং কিছুদিন পর তার স্বামী পুনরায় বিদেশ চলে যায়। তিনি এখনও বিদেশেই আছেন বলেও জানায় এলাকাবাসী।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে আশেপাশের লোকজন বাড়িতে সাড়া-শব্দ না পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম জানান, প্রাাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ এদের খুন করে লাশ ফেলে রেখে চলে গেছে। তদন্ত করে সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।