শিরোনাম :
শাবিতে নতুন ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ‍্যক্ষ সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপ ও তামাবিল পাথর আমদানীকারক গ্রুপের মতবিনিময় সভা সুনামগঞ্জের শ্যামারচরে জামায়াতের সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল মধুপূর্ণিমা তিথিতে চারুআড্ডা’র আহ্বানে আলোকিত বিশ্ব গড়তে আলো হাতে দশ মিনিট সানাবিল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গোলাপগঞ্জে শহীদ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান সিলেটের গোলাপগঞ্জে অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকদলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা কিডনি বিশেষজ্ঞ দলের সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল পরিদর্শন সিলেটে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর মুখে ‘মুহাম্মদের গান’ জাফলংয়ে লুৎফুর উদ্দিন মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান

সিলেটে দুই মরদেহ, এক পরিচয়ে দাফন

রিপোর্টার নামঃ
  • শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০২২
  • ২০৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: মৎস্য খামার থেকে উদ্ধার করা মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা পোশাক দেখে। দাফন করা হয় তা নিখোঁজ রাজমিস্ত্রি ডালিম আহমদ পরিচয়ে। বাড়ির পাশের কবরে এক দিনের ব্যবধানে আরেকটি মরদেহ দাফন করা হয় ডালিম পরিচয়েই। যে মরদেহ উদ্ধার হয় কৃষিজমি থেকে, ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলিয়ে পুলিশ নিশ্চিত করে দ্বিতীয় মরদেহটি ডালিমের। প্রথম উদ্ধার হওয়া মরদেহটি কার, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

ঘটনাটি সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাঠেরচটি গ্রামের।

স্বজনরা জানান, স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ডালিম আহমদ। সেখান থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। নিখোঁজের দুই দিন পর সোমবার বিকেলে ঘাঠেরচটি এলাকার একটি মৎস্য খামার থেকে পুলিশ উদ্ধার করে মুখমণ্ডল বিকৃত একটি মরদেহ। গায়ের পোশাক দেখে ডালিমের পরিবার নিশ্চিত করে এটি তার মরদেহ। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার নিজ বাড়িতে মরদেহ দাফন করে ডালিমের পরিবার।

এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই ঘাঠেরচটি এলাকার নায়াটিলা জামে মসজিদসংলগ্ন একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে রক্ত দেখতে পায়। সেই সূত্র ধরে মসজিদসংলগ্ন কৃষিজমিতে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিকৃত এ মরদেহ শনাক্তে পরদিন নেয়া হয় আঙুলের ছাপ। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দেখতে পায়, আঙুলের ছাপটি নিখোঁজ ডালিমের। তখন রাজমিস্ত্রি ডালিমের বাবা বাচ্চু মিয়াকে খবর দেয়া হয়। তিনি সন্তানের মরদেহ নিয়ে দাফন করেন আগের কবরের পাশে।

বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শনিবার আমার ছেলে নিখোঁজ হলে জিডি করেছিলাম। এরপর মৎস্য খামার থেকে উদ্ধার মরদেহের পোশাক দেখে আমরা তা শনাক্ত করি। বাড়ির পাশে তাকে দাফনও করি।

‘মঙ্গলবার রাতে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার হয়। পরদিন থানা থেকে বলা হয়, মরদেহটি আমার ছেলের। দুটি মরদেহই বিকৃত হয়ে গেছে। তাই চেহারা দেখে চেনা যাচ্ছে না। দুটি মরদেহ বাড়ির পাশে দাফন করেছি।’

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, ‘সোমবার উদ্ধার হওয়া মরদেহের হাত-পা ও গলায় রশি বাঁধা ছিল। মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। অর্ধগলিত মরদেহটি ডালিমের বলে পরিবার শনাক্ত করলে আমরা ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করি। তারা মরদেহটি দাফন করেন।

‘মঙ্গলবার রাতে একই এলাকা থেকে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার হয়। এই মরদেহের গলা কাটা এবং বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। পরিচয় শনাক্তের জন্য আঙুলের ছাপ নিয়ে দেখা যায়, মরদেহটি নিখোঁজ ডালিমের।’

পুলিশ জানায়, সোমবার উদ্ধার করা মরদেহের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি দুটি হত্যায় জড়িতদের খোঁজা হচ্ছে। তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে মরদেহ কবর থেকে তোলা হতে পারে।

ডালিম হত্যায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ওসি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain