শিরোনাম :
তারেক রহমানের শান্তি ও ঐক্যের বার্তা সর্বত্র পৌছে দিতে হবে : খন্দকার মুক্তাদির জাফলংয়ে ভাঙারি দোকান থেকে পুরাতন মর্টার শেল উদ্ধার সিলেট স্টেশন ক্লাব লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হাদি হত্যার বিচার চেয়ে সিলেটে আজও বিক্ষোভে ইনকিলাব মঞ্চ সিলেটের মাঠেই হার্ট অ্যাটাক, মাঠ থেকেই শেষ বিদায় জাকির খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় এম এ রউফ এর উদ্যোগে ভাতগাও ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগরের প্রতিনিধি সভা অনুষ্টিত সিলেটে ডেভেলপমেন্ট কাপ (অনূর্ধ্ব-১৫) ফুটবল টুর্নামেন্টের বাছাই অনুষ্ঠিত হাদির কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান সিলেটে ৬ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পাচ্ছেন ১০০ প্রবাসী

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ৫০ দম্পতিকে সংসারে ফেরালেন

রিপোর্টার নামঃ
  • মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২
  • ২৭২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: কেউ একে অপরকে ভালোবেসে, কেউ আবার পারিবারিক সিদ্ধান্তে একসঙ্গে জীবন শুরু করেছিলেন। দুজনের মধ্যে গভীর ভালোবাসাও ছিল। কিন্তু পারিবারিক কলহ, ভুল বোঝাবুঝি, যৌতুক, নির্যাতন ইত্যাদি কারণে উড়ে যায় সুখপাখি। সালিশে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় দাম্পত্যের ছন্দপতন ঘটে। এক পর্যায়ে আদালত পর্যন্ত গড়ায় তাদের কলহ।

এমন ৫০ দম্পতিকে আবারও সংসারের বন্ধনে ফিরিয়ে দিলেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। যুগান্তকারী এই রায় দুটো মানুষকে আবারও একসঙ্গে জীবন কাটানোর সুযোগ করে দিলো। হাসি ফোটালো তাদের সন্তানদের মুখে।

 

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিজেদের স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মামলাগুলো করেছিলেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৫০ নারী। এরকম ৫০ দম্পতিকে সুখী জীবনে ফেরানোর প্রয়াস নেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন। কোনো আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংসার জীবন চালিয়ে যাওয়ার শর্তে বাদীদের সঙ্গে আপোস করিয়ে দেন।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে আদালত এই রায় দেন। এসময় সকল মামলার বাদী-বিবাদী, তাদের আইনজীবী ও পরিবারের লোকজন উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। আবেগে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চোখের পানিও ঝরান।

 

আদালতের আপোসনামায় ৫০ দম্পতি অঙ্গীকার করেন, সন্তানাদি নিয়ে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করবেন তারা। সংসারে শান্তি বিনষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করবেন না। স্বামী-স্ত্রী উভয়কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেবেন। স্বামী তার স্ত্রী বা তার মা-বাবা ও অভিভাবকের কাছে যৌতুক দাবি করবেন না। পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ও বিরোধ দেখা দিলে নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করবেন। স্বামী কখনো স্ত্রীকে নির্যাতন করবেন না, স্ত্রীকে নির্যাতন করলে বা যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বলেন, আদালত পৃথক ৫০টি নারী-শিশু নির্যাতন দমন মামলায় একসঙ্গে যুগান্তকারী একটি রায় দিয়েছেন। আদালতে যে শুধু শাস্তি হয় না পরিবারে শান্তিও ফেরানো হয়।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain